Sunday, September 12, 2010

ঈদের খুশিতেও যেন সবুজ পৃখিবীর কথা মনে থাকে.....

দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর অনেক আনন্দ আর খুশির বার্তা নিয়ে আমাদের দুয়ারে এসেছে পবিত্র ঈদ উল ফিতর। এই ঈদ অপার আনন্দ আর খুশির অমীয় ধারায় ভরিয়ে দিক আমাদের সকলের হৃদয়কে। অশেষ শান্তি আর সবুজময় হোক আমাদের এই বসুন্ধরা- এই শুভকামনায় সবাইকে ঈদ মোবারক
ঈদ শেষে এবার সবার বাড়ী ছাড়ার পালা। শত  ব্যস্ততার মাঝেও আমরা কি একবারও ভেবে দেখেছি, বাড়ী এসে বাসস্থান নির্মাণ ও অন্যান্য প্রয়োজনে প্রতি বছর যে বৃক্ষগুলো নিধন করছি, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্যে সেই পরিমান বৃক্ষের চারা রোপন করছি কি? আমরা কি পারিনা, বাড়ী ছাড়ার আগে প্রত্যেকেই অন্তত একটি করে প্রয়োজনীয় বৃক্ষের চারা রোপন করতে? একবার ভেবে দেখেছেন, প্রায় এক কোটি মানুষ কর্মস্থল ছেড়ে নিজ নিজ বাড়ী গেছেন প্রত্যেকেই যদি একটি করে বৃক্ষের চারা রোপন করেন তাহলে এই দেশ কতটা সবুজময় হয়ে উঠবে? প্লিজ, সবাই অন্তত একটি করে বৃক্ষের চারা রোপন করে তবেই বাড়ী ছাড়ুন। দেখবেন এতে যারা বাড়ীতে আছেন তারাও আপনাকে অনুস্বরন করছেন। এভাবে সকলের প্রচেষ্ঠায় আমার প্রিয় বাংলাদেশ ভরে উঠবে সবুজের সমারোহে। মনে রাখবেন বাংলাদেশ বাঁচলেই বিশ্ব বাঁচবে।  

Monday, May 24, 2010

আইলায় এক লাখ মানুষ এখনও উদ্বাস্তু

বার বার প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হচ্ছে বাংলাদেশ৷ সিডরের ক্ষত শুকাতে না শুকাতেই, গত বছরের ২৫শে জুন আইলার আঘাতে দেশের উপকুলীয় এলাকায় প্রাণ হারায় প্রায় দেড় শতাধিক মানুষ৷

সহায় সম্বল, এমনকি বসত ঘর হারিয়ে এক লাখ মানুষ হয়ে পড়েছে জলবায়ু উদ্বাস্তু৷

Monday, April 26, 2010

কৃষিতে জলবায়ুর হিংস্র আঘাত

 বিশ্ব জলবায়ু সংক্রান্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী উন্নয়নশীল বিশ্বের প্রায় ৬৩ শতাংশ মানুষ গ্রাম এলাকায় বাস করে। বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। শতকরা ৬০ জনের বেশি মানুষ গ্রামে বাস করে এবং কৃষির ওপর প্রত্যক্ষভাবে নির্ভরশীল। বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশ সবচেয়ে ঝুঁকিবহুল বলে বিশেষজ্ঞরা অভিমত প্রকাশ করেছেন। জলবায়ু ঝুঁকিসূচক অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান হচ্ছে প্রথম, উত্তর কোরিয়ার দ্বিতীয়, নিকারাগুয়ার তৃতীয়, ওমানের চতুর্থ এবং পাকিস্তানের পঞ্চম। অর্থাৎ উন্নয়নশীল দেশগুলোই

Saturday, April 24, 2010

লবণের গ্রাসে সিডরবিধ্বস্ত উপকূলের কৃষি: কৃষকের বুকফাটা হাহাকার

জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশের দক্ষিণ উপকূল অঞ্চলের নদ-নদী আর ফসলি জমিতে। লবণাক্ততার করালগ্রাসে উপকূলীয় জনপদ রূপ নিচ্ছে বিরানভূমিতে। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা পরিষদের তথ্য মতে, দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে গড়ে ২০ শতাংশ আবাদি জমি প্রতিবছর চাষের উপযোগিতা হারাচ্ছে।

Friday, April 23, 2010

পৃথিবীকে বাসযোগ্য রাখার কাজের স্বীকৃতি: 'চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ' পুরস্কার পেলেন ছয় পরিবেশপ্রেমী

পরিবেশসংক্রান্ত বিষয়ে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর ছয়জনকে জাতিসংঘের 'চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ' পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমানোর মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর সবুজ অর্থনৈতিক ক্ষেত্র তৈরিতে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখার জন্য তাঁদের

Thursday, April 22, 2010

বিশ্ব ধরিত্রী দিবসে আমাদের অঙ্গীকার


আজ বাইশে এপ্রিল সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে ধরিত্রী দিবস। যুক্তরাষ্ট্রের একজন সিনেটর গেলরড নেলসন ১৯৭০ সালে যে আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন তারই ধারাবাহিকতায় এসেছে এই দিবস। তখন তিনি এর নাম দিয়েছিলেন এনভায়রনমেন্টাল টিচ-ইন। এ আন্দোলনের প্রথম সম্মেলনে প্রায় ২০ মিলিয়ন লোককে যুক্ত করেছিলেন নেলসন। এবার দিবসটির ৪০তম বার্ষিকী পালিত হচ্ছে। ২০০৯ সালে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন মানুষ ধরিত্রী দিবস পালন করেছিল। কিন্তু আন্দোলনে মানুষের অংশগ্রহণ যতটা স্বতঃস্ফূর্ত ছিল সে অনুযায়ী তার ফল কি বিশ্ববাসী পেয়েছে?

রাজশাহী ও নওগায় ভূমিতে ফাটল, কিসের আলামত?

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার মৌগাছা ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামের প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকায় আকস্মিক ফাটল দেখা দিয়েছে। গত ষোল ও সতেরো এপ্রিল এ ঘটনা ঘটে। এর দু,দিন পরই নওগার সাপাহারউপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় ভূমিতে আকস্মিক ফাটল সৃষ্টি হয়। দু,টি ফাটলই প্রস্থে প্রায় দেড় ফুট পর্যন্ত এবং গভীরতায় প্রায় ত্রিশ ফুট পর্যন্ত দেখা গেছে। ওই দুই এলাকার মানুষজন চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তি ও বিশেষজ্ঞদের ধারণা মাটির তলদেশে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণেই এমনটি হয়ে থাকতে পারে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা অদূর ভবিষ্যতে এখানে বড় ধরনের কোন বিপর্যয়ের আশংকা উড়িয়ে দেওয়া যায়না।

Wednesday, April 21, 2010

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশে হারিয়ে যাচ্ছে নানা প্রজাতির পাখি


ঢাকা চিড়িয়াখানার জলাভূমি প্রতিবছর শীতে পরিযায়ী পাখির আগমনে মুখরিত হয়ে ওঠে৷ কিন্তু এবছর মাঘের শীতেও অতিথি পাখির দেখা পাওয়া যায়নি তেমন একটা। চিড়িয়াখানার দর্শনার্থীদের তাই খাঁচার পাখি দেখেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে৷ অতিথি পাখি না আসার কারণ হিসাবে বিশেষজ্ঞরা জলবায়ু পরিবর্তনকেই দায়ী করছেন।


বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় ইইউ তহবিল

বাংলাদেশের পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কোপেনহেগেন সম্মেলনে আইনগত বাধ্যবাধকতা সম্বলিত একটি চুক্তি সম্পাদনের বিষয়ে বাংলাদেশের যে প্রত্যাশা ছিল, তা পূরণ হয়নি৷ ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন৷
তবে হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর সমন্বয়ে একটি বহুজাতিক তহবিল গঠন চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে৷ দুই এক দিনের মধ্যে এই ঘোষণা আসছে৷

Tuesday, April 20, 2010

প্রথম আলো: কোপেনহেগেন সম্মেলন নিয়ে বাংলাদেশের প্রত্যাশা কী?
হাছান মাহমুদ: অনেকেই মনে করছেন, এই সম্মেলনে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো টাকা চাইবে। কে কত টাকা পাবে, সেটি ঠিক হবে। আসলে তা নয়। কোনো দাবি-দাওয়া নিয়ে তহবিল বা ফান্ড চাওয়ার প্রশ্নে কোপেনহেগেন সম্মেলন হচ্ছে না।
কোপেনহেগেনের এই সম্মেলন নিয়ে সারা বিশ্বেই এখন অনেক প্রত্যাশা।

বলিভিয়ায় চলছে জলবায়ু 'গণসম্মেলন'


বলিভিয়ার কোচাবাম্বায় গতকাল থেকে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বিকল্প সম্মেলন শুরু হয়েছে। একে বলা হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বিকল্প 'গণসম্মেলন'। গত বছর ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে আয়োজিত জলবায়ু সম্মেলনের বিকল্প হিসেবে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের আহ্বানে তিনদিনব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ২২ এপ্রিল আন্তর্জাতিক মা ধরণী দিবস

বন্যা সহিষ্ণু ধান পরীক্ষার চূড়ান্ত পর্যায়ে বাংলাদেশ

নতুন উদ্ভাবিত বন্যা সহিষ্ণু তিন প্রজাতির ধানের পরীক্ষা নিরীক্ষার চূড়ান্ত পর্যায়ে আছেন বাংলাদেশের গবেষকরা৷ তারা বলছেন, সফলভাবে এ ধান প্রবর্তন করা গেলে প্রতিবছরের বন্যা মোকাবিলা করে ভাল ফসল ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকরা৷ বাংলাদেশের প্রায় ২০ ভাগ অঞ্চল প্রতিবছর বন্যার পানিতে তলিয়ে যায় এবং সাধারণ প্রজাতির ধানগুলো বন্যার পানির নীচে ৩ দিনও টিকে থাকতে না পারার কারণে প্রতিবছর লাখ লাখ টন ফসলহানির শিকার হয় চাষিরা....ডয়েচে ভেলের এই ফিচারটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন.

বদলে যাচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলের জীবনধারা

বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের জীবন বদলে যাচ্ছে৷ নোনা পানির এলাকার মানুষরা এখন তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত৷ চলুন সেই পরিবর্তনের একটি চিত্র আপনাদের জানাই৷ চর আত্রা৷ দক্ষিণের নদীতে গড়ে ওঠা একটি চর৷ সেই চরের মানুষের এক সময় ঘর ভর্তি থাকতো সোনালি পাকা ধান৷ পুকুরে মিঠা পানির মাছ৷ আর বাড়ির উঠোনে ঘুরে বেড়াতো নানা রঙের মুরগি৷ ঘূর্ণিঝড় আইলার পর সেখানকার মানুষের উপর নেমে এসেছে এক অভিশাপ৷ এই অভিশাপের জন্য তারা কোন ভাবেই দায়ী নয়.....ডয়েচে ভেলের এই ফিচারটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন

এশিয়ার মেগাসিটিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ঢাকা

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে এশিয়ার মেগাসিটিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শহর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা৷ ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফান্ড বা ডাব্লিউ ডাব্লিউ এফের সদ্য প্রকাশিত রির্পোটে এই তথ্য জানানো হয়েছে৷ এশিয়ার এগারটি ঝুঁকিপূর্ণ শহরের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ম্যানিলা এবং জার্কাতা৷ ভারতের কলকাতা এবং ক্যাম্বোডিয়ার নমপেনের অবস্থান তৃতীয়৷ এরপর আছে ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটি এবং চীনের সাংহাই৷ পঞ্চম অবস্থানে আছে থাই রাজধানী ব্যাংকক৷ মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর, চীনের হংকং এবং সিঙ্গাপুরের অবস্থান ৬ -এ......ডয়েচে ভেলের এই ফিচারটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন.

পরিবেশ শরণার্থীদের শেষ ঠিকানা রাজধানী ঢাকা

ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে স্থানচ্যুত মানুষের ভিড় বেড়ে চলেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়৷ সাথে রয়েছে অপরিকল্পতি এবং দ্রুত নগরায়ণ প্রক্রিয়া৷ ফলে পরিবেশের অবক্ষয়সহ বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে রাজধানী - মন্তব্য বিশ্লেষকদের৷ ২০০৭ সালের নভেম্বর মাসে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল৷ প্রাণ হারায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ৷ পরিবেশ শরণার্থীতে পরিণত হয় শাহানার মতো হাজারো অসহায় নারী-পুরুষ৷ নিরুপায় হয়ে শাহানা ঢাকায় এসে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরবর্তী বস্তিতে......ডয়েচে ভেলের এই ফিচারটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন.

আর্দ্রতা মাপার বিশেষ স্যাটেলাইট কক্ষপথে

ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার একটি বিশেষ স্যাটেলাইট প্রায় ৩ বছর ধরে ভূ-পৃষ্ঠে আর্দ্রতার সূক্ষ্ম পরিমাপের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করবে৷ আগামী ডিসেম্বর মাসে কোপেনহেগেনে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে৷ কিয়োটো প্রোটোকলের উত্তরসুরি চুক্তি সম্পর্কে ঐক্যমত সৃষ্টি করার লক্ষ্যে জোরালো প্রস্তুতি চলছে৷ কিন্তু যে বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞানী ও রাজনৈতিক মহলে প্রবল.....ডয়েচে ভেলের এই ফিচারটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন

হিমালয়ের হিমবাহগুলো দ্রুত গলছে, তথ্যটি ভুল

হিমালয়ের বরফ গলে যাচ্ছে৷ আর এই হিমবাহগুলো গলে যাওয়ার মাত্রা এতটাই দ্রুত যে বিশ্বের উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ২০৩৫ সালের মধ্যে হিমালয়ের এই হিমবাহগুলো গলে যাবে৷ জাতিসংঘের ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি) এই তথ্যই জানিয়েছিল সম্প্রতি৷ কিন্তু এখন বলা হচ্ছে এই পূর্বাভাষ একটি ‘একটি দুঃখজনক ভুল'৷.....ডয়েচে ভেলের এই ফিচারটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন

জলবায়ুর পরিবর্তনে মরতে পারে ৪ লাখ শিশু

ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট বন্যা আর খরায় প্রতি বছর প্রাণ হারাতে পারে ৪ লাখ শিশু৷ শিশু দাতব্য সংস্থা সেভ দ্যা চিলড্রেন জানাচ্ছে এমন তথ্য৷ সেভ দ্যা চিলড্রেন সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগ, পানিবাহিত রোগ আর খাদ্যাভাবজনিত কারণে আগামী বছর প্রাণ হারাতে পারে আড়াই লাখ শিশু৷ ২০৩০ সাল নাগাদ এই শিশু মৃত্যুর হার বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৪ লাখে৷ সেভ দ্যা চিলড্রেন এর মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত......ডয়েচে ভেলের এই ফিচারটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন.

জলবায়ু দূষণের প্রভাব পড়ছে জনসংখ্যাতেও

‘ক্লাইমেট চেঞ্জ’ বা জলবায়ু দূষণ কী জনসংখ্যাতেও প্রভাব ফেলছে? জাতিসংঘের জনসংখ্যা রিপোর্টের ইঙ্গিত তেমনই৷ বাড়ছে ধনী দরিদ্রের ভেদাভেদ, বাড়ছে নারী পুরুষের সংখ্যার তারতম্য৷ জলবায়ুতে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে দূষিত কার্বনের মাত্রা৷ ছড়িয়ে পড়ছে মাত্রাতিরিক্ত ভাবে৷ দূষণের ফলে নদী তার নাব্যতা হারাচ্ছে, গলে যাচ্ছে মেরুর বরফ, বেড়ে চলেছে উষ্ণতা ক্রমাগত৷ ঋতু পরিবর্তনে বিস্ময়কর ভাবে উধাও.....ডয়েচে ভেলের এই ফিচারটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন.

জলবায়ু পরিবর্তন: গাছপালা ও প্রাণীকূল সর্বোচ্চ হুমকির মুখে

 বিশ্বব্যাপী জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ দূষণের ফলে বর্তমানে যে প্রক্রিয়ায় জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে তাতে পৃথিবীর ২০ থেকে ৩০ শতাংশ গাছপালা ও প্রাণী রয়েছে সর্বোচ্চ হুমকির মুখে৷ যারা পৃথিবী হতে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে৷ বিশ্বের তাপমাত্রা ১.৫ হতে ২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পায় তবে ২০-৩০ শতাংশ গাছপালা ও পশু পাখির জীবনের উপর ভয়াবহ ঝুঁকির সম্ভাবনা বিদ্যমান৷ অদূর ভবিষ্যতে পৃথিবীতে গ্রিন হাউস গ্যাসের প্রভাবে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, ঝড়ঝঞ্ঝা, খরা, বন্যা, বরফ গলে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি......ডয়েচে ভেলের এই ফিচারটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়বে শস্য উৎপাদনে

গবেষকরা আশংকা করছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে শস্য উৎপাদন ৫০ শতাংশ কমে যাবে৷ এর ফলে ঐ অঞ্চলে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের মাত্রা আরো বেড়ে যাবে৷ এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঐ অঞ্চলের কিছু অংশে ভয়াবহ বন্যা আবার অন্য অংশে দীর্ঘ সময় ধরে প্রচন্ড খরা বিরাজ করবে বলে আশংকা করা হচ্ছে৷ এমনকি কিছু অংশে জমির উর্বরতা কমে গিয়ে শস্য উৎপাদন হ্রাস পাবে৷ ফসল উৎপাদন কমে যাওয়ায় বেড়ে যাবে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের মূল্য৷ডয়েচে ভেলের এই ফিচারটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন.

Friday, April 16, 2010

ভোট দেওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ

আর্ন্তজাতিক ব্লগ কনটেস্টে এই ব্লগটি ক্লাইমেট চেন্জ ক্যাটাগরিতে ইন্টারনেট ভোটিংয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে ???
এমন কিছু প্রাপ্তি আছে যে প্রাপ্তির কোন তুলনা হয়না। কোন কিছুর বিনিময়ে যে প্রাপ্তির কোন মূল্য শোধ করা যায়না। সেরকম একটা মহা প্রাপ্তি আমার এই ক্ষুদ্র হৃদয়কে কানায় কানায় ভরে দিয়েছে। আপনারা এই ব্লগটিকে যেভাবে ভোট করে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মাধ্যমে দ্বিতীয় স্থানে নিয়ে গিয়েছেন আমি আসলে ততটা আশা করিনি। একজন আনকোরা ব্লগার হিসাবে অতটা আশা করা অন্যায়। যারপরনাই আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা আমার জানা নাই। আমি সত্যিই অভিভূত এবং কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতে এরূপ যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার যে মহামন্ত্র, যে মহাশক্তি আমি আপনাদের কাছ থেকে পেলাম এটাই আমার সব চেয়ে বড় প্রাপ্তি। যারা আমার এই ব্লগটিকে ভোট করেছেন, মূল্যবান মতামত রেখেছেন এবং আমাকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের সবাইকে আমার হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা আর ধন্যবাদ রইল।

Saturday, April 10, 2010

জলবায়ু পরিবর্তন : কৃষিতে প্রকৃতির অচেনা অভিঘাত

জলবায়ু পরিবর্তনে বৈশ্বিক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে চেনা প্রকৃতি দিন দিন অচেনা হয়ে উঠছে। হারিয়ে যাচ্ছে ঋতু ও কৃষিবৈচিত্র্য। সাংবাৎসরিক খরা-বন্যা ও শিলাঝড়ের সঙ্গে যোগ হয়েছে অধিক ঠাণ্ডা ও শৈত্যপ্রবাহ। কোনো কোনো এলাকায় শীতের পারদ ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যাচ্ছে।

Thursday, March 25, 2010

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মরুময় বাংলাদেশ

বাংলাদেশের মানুষ প্রতি দিন প্রতি মুহুর্তে তীলে তীলে অনুভব করছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। গ্রীষ্মকাল শুরু হতে না হতেই এখানে শুরু হয় পানিশূন্যতা। পুকুর খাল বিল নদী নালা ফসলের মাঠ সবকিছু শুকিয়ে

জলবায়ু দূষণে আমাদের অংশীদারিত্বও কম নয়

একথা সর্বজন স্বীকৃত যে ধনী দেশগুলোর শিল্প কারখানা থেকে লাগামহীন অবিরাম কার্বন নির্গমনের জন্যই জলবায়ুর এত মারাত্নক দূষণ ঘটছে। কিন্তু তাই বলে আমরা গরীব দেশের মানুষেরা যে মোটেই এজন্য দায়ী নই তা নয়। আমাদের নিয়ম কানুন, পরিকল্পনা, দৈনন্দিন জীবন যাপনের অভ্যাস এবং সর্বোপরি আমাদের উদাসীনতার জন্যও পরিবেশ তথা জলবায়ুর দুষণ ঘটছে। তাই আমাদেরও সচেতন হতে হবে।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে গ্রীষ্মকালে পানিশূন্য বাংলাদেশ, চারদিকে হাহাকার

খাবার পানির চরম সংকট
নলকূপে পানি উঠছে না। খাওয়ার পানির জন্য দূরের গ্রামে গভীর নলকূপের পাশে আদিবাসী নারীদের পানির জন্য সকাল থেকে অপেক্ষা। ছবিটি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ডাইংপাড়া থেকে তোলা

Thursday, March 4, 2010

জলবায়ু পরিবর্তন ও মানসিক স্বাস্থ্য

জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তন একটি দীর্ঘমেয়াদি জলবায়ুর পরিবর্তন, যা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মনুষ্যসৃষ্ট কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী এবং যে পরিবর্তনটি দৃশ্যমান ও পরিমাপযোগ্য। জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট ক্ষতিকর প্রভাবগুলোর মধ্যে পরিবেশ থেকে শুরু করে জীববৈচিত্র্য, খাদ্য, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিল্প, মানববসতি প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিদ্যমান।

স্বাস্থ্য খাতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। চর্মরোগ, অ্যাজমাসহ অন্যান্য রোগের প্রকোপও বাড়ছে। এসব সমস্যাসহ স্বাস্থ্য খাতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলো চিহ্নিত করতে হবে। এ নিয়ে জনসচেতনতা তৈরি করে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

পরিবেশ সংকটঃ ইসলামী অনুশাসন

ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি এত বাস্তবমুখী ও ফলপ্রসূ যে, ইসলাম প্রকৃতি বা পরিবেশ সম্পর্কে মৌলিক নীতিমালা উপস্থাপন করেছে যা পৃথিবীর অন্য কোন জীবন ব্যবস্থায় খুঁজে পাওয়া যায় না। প্রথমেই আমরা বলতে পারি আমাদের চারপাশের পরিমন্ডল, আকাশ, বাতাস, মাটি, পানি, গাছপালা ইত্যাদি যা পরিবেশ হিসাবে খ্যাত এগুলো সবই মহান স্রষ্টার অপূর্ব নিয়ামত। এ সবকিছু মহান আল্লাহর অসীম কুদরতের নিদর্শন।

জলবায়ু পরিবর্তন ও মনের আবহাওয়া

গত কয়েক মাসে পৃথিবীতে যে বিষয়টি সম্ভবত সবচেয়ে বেশিবার আলোচিত হয়েছে, তা হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা। আবার জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় ওপরের দিকে আছে বাংলাদেশ। তাই বাংলাদেশের নামটিও আলোচনায় এসেছে বহুবার। বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ার প্রভাবে ভৌগোলিক যে পরিবর্তন হবে, বা এর ফলে শারীরিক যা যা সমস্যা হতে পারে, তা নিয়ে বলা হয়েছে বিস্তর।

Saturday, February 20, 2010

জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি শিকার নারীরা


বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মাত্রায় জলবায়ু পরিবর্তনের শিকারে পরিণত হচ্ছে বাংলাদেশ। এ খবর শুধু গণমাধ্যমের নয়, এর প্রমাণ মিলেছে সরেজমিনে দেখার মাধ্যমেও। আমরা জানি, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই নারী।

Saturday, February 13, 2010

চিত্রে প্রকৃতির হিংস্র হানা-1

হিংস্র প্রকৃতির সাথে লড়াই করে টিকে থাকবে এমন শক্তি নেই এই বৃদ্ধার। তারপরও বেচে থাকার প্রানান্ত চেষ্টা- খাদ্যের সন্ধানে বেড়িয়েছেন তিনি।

চিত্রে প্রকৃতির হিংস্র হানা-2

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বর্ষা কালে বৃষ্টি নেই, শীত কালে শীত নেই। আবার হঠাৎ করেই ঝড়-সাইক্লোন-বন্যা, প্রকৃতির চরম বৈরী আচরণ। ফসল রোপনের সময় চলে যায় কিন্তু বৃষ্টি নেই, জমির মাটি ফেটে চৌচির। ফসল লাগাতে না পারলে আগামী দিনগুলো কিভাবে চলবে? প্রখর রোদ্রের মাঝেও চিন্তায় মগ্ন কৃষক।  >> ছবি: এএফপি

চিত্রে প্রকৃতির হিংস্র হানা-3


চিত্রে প্রকৃতির হিংস্র হানা-4

একটু বৃষ্টি বা পাহাড়ের ঢল নামলেই বাংলাদেশের অর্ধেক জন গোষ্টি এভাবেই পানির নিচে তলিয়ে যায়। সামান্য এক পশলা বৃষ্টির পর দীর্ঘদিন পর্যন্ত পানির সাথে যুদ্ধ করে টিকে থাকতে হয় কয়েক কোটি বাংলাদেশীকে।

পরিবেশ বদলের শব্দকোষ

 climate banner


এডাপটেশনের সঙ্গে মিটিগেশনের কী পার্থক্য? কার্বন ফুট প্রিন্ট বলতে কি বোঝায়? জলবায়ূ পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত এধরনের কিছু ইংরেজি পারিভাষিক শব্দের সহজ মানে জেনে নিন:
এডাপটেশন: অভিযোজন; যেসব পদক্ষেপের ফলে পরিবেশ পরিবর্তনের ক্ষতিকারক প্রভাব কাটিয়ে ওঠা সহজ হয়৻ যেমন, সমূদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়তে থাকলে উপকূল বরাবর বাঁধ নির্মান৻ অথবা, বণ্যা কিংবা খরা সহ্য করতে পারে এমন ধরনের ধান চাষ করা৻

প্রশ্নোত্তরে জলবায়ু ও জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলন

climate conference


জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে আপনাদের নানা প্রশ্নের জবাব রয়েছে এখানে:
প্র: কোপেনহেগেন আলোচনা কেন হচ্ছে?

জলবায়ু পরিবর্তনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

history banner


জলবায়ু পরিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী, বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার, প্রযুক্তিগত পরিবর্তন এবং রাজনৈতিক কর্মসূচী:
১৭১২ - বৃটিশ লোহার কারবারি টমাস নিউকোমেন কর্তৃক প্রথম স্টীম ইঞ্জিন উদ্ভাবন করেন, পরে যার ব্যবহার ব্যাপকভাবে শুরু হয়৻ তাঁর এই আবিষ্কার শিল্প বিপ্লব ও শিল্প-কারখানায় অধিক হারে কয়লা ব্যবহারের পথ সুগম করে। 
১৮০০ - বিশ্বের জনসংখ্যা ১০০ কোটিতে পৌঁছায়৻

নতুন আশা ধাপ পদ্ধতির চাষাবাদ

float farming


পরিবেশ বদলের হাতিয়ার ভাসমান চাষ৻
আবহাওয়ার অস্বাভাবিক আচরনে ক্রমশ: উদ্বেগ বাড়ছে বাংলাদেশে৷ বিশেষ করে অসময়ে বৃষ্টি, বন্যা ক্রমে একটি প্রবণতা হিসেবে দাড়িয়ে যাচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা বলতে শুরু করেছেন৷ আর এই প্রতিকুলতার সাথে কৃষিকে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টায় ভাবা হচ্ছে বহু পুরোনো কিন্তু প্রায় অজানা এক চাষাবাদ পদ্ধতির কথা ৷ 

হুমকির মুখে সুন্দরবন, দিশেহারা মানুষ

the sundarbans


অতি লবণাক্ততায় মরে যাচ্ছে উপকূলীয় বাদাবন৻
নদী-খাল-জমিতে ক্রমবর্ধমান লবণাক্ততায় বিপর্যস্ত হচ্ছে সুন্দরববনের জীব বৈচিত্র এবং প্রাকৃতিক সম্পদ৷ সেই সাথে দিশেহারা হয়ে পড়ছে সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল মানুষজন৷

নোনা পানিতে নতুন ধান চাষ

new rice


নোনা মাটিতে নতুন ফসলের হাসি৻
বাংলাদেশের উপকূলের পুরোটা জুড়ে উপকূল জুড়ে খাবার জল আর কৃষি জমিতে লবনের মাত্রা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে৻ তবে নোনা পানির এই দূর্যোগের সাথে খাপ খাওয়াতে নতুন এক প্রজাতির ধান চাষ কিছুটা স্বস্তি আনছে খুলনা, সাতক্ষীরার লবন প্রবন এলাকায় কৃষকদের মধ্যে৷ 

অজানা আশংকায় দ্বীপের জীবন

shoal

বঙ্গোপসাগরের কোলে ছোট দ্বীপগুলির নিরাপত্তা নিয়ে হুমকি৻
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে যে সব জনপদের, তার প্রথম সারিতে রয়েছে মেঘনার মোহনায় ছোট, মাঝারি দ্বীপগুলো৷ কিন্তু ধেয়ে আসা এই দূর্যোগের জন্য তাদের দায় কতটুকু ?

নোনা জমি আঁকড়ে বেঁচে আছেন কৃষক

Biponno Banner

জোয়ার ভাটায় ক্ষতবিক্ষত উপকূল
বাংলাদেশের উপকূলে গত দু বছরে পর পর দুটো ভয়াবহ সামুদ্রিক ঝড় বয়ে গেছে৷ ২০০৭ এর নভেম্বরে সিডর, আর তার ছয়মাসের মাথায় আয়লা৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘন ঘন এসব ঝড়-জলোচ্ছ্বাস জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান একটি উপসর্গ৷ উপর্যূপরি এসব প্রাকৃতিক দূর্যোগ কতটা বিপন্ন করে তুলেছে উপকূলের বাসিন্দাদের ? 

জীবিকার সঙ্কটে উপকূলের জেলেরা

Biponno Banner

উপকূলীয় মাছের বন্দরে মন্দাভাব
বাংলাদেশে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপ বেড়ে ঝড়ঝঞ্ঝার প্রকোপ বছরে বছরে বাড়ছে৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘন ঘন এসব ঝড়-জলোচ্ছ্বাস জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান একটি উপসর্গ৷ আর এ দূর্যোগে জীবিকা নিয়ে তীব্র সঙ্কটে পড়েছেন উপকূলের জেলে সম্প্রদায়৻ 

মেঘনার ভাঙ্গনে ঘরছাড়া লক্ষ মানুষ

banner image

মেঘনার নদী গ্রাস করছে বহু মানুষের ভিটেমাটি৻
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উত্তাপ বাড়ছে, সমুদ্র ক্রমশ স্ফীত এবং উত্তাল হচ্ছে৷ বিশেষজ্ঞরা এখন এই প্রবণতা নিশ্চিত করছেন, এবং বলছেন এর প্রভাবে বাড়ছে নদী ভাঙ্গন৷ নদী পাড়ের মানুষ কতটা টের পাচেছন তা?

জলবায়ু পরিবর্তনঃ চাষাবাদে বিপর্যয়, ফসলহানির আশঙ্কা

জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে রোপা আমন, আমন, আউশ, পাটসহ কৃষি ফসলের শতকরা ৭০ ভাগ ফলনহানির আশঙ্কা করছে কৃষি বিভাগ। যে সময় বর্ষা বা বৃষ্টি হবার কথা সে সময় না হয়ে শরতকালে অতিবৃষ্টি হওয়ায় নতুন করে কৃষি সেক্টরে এই ফসলহানির আশঙ্কা করছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। শরতের মাঝামাঝিতে আমন ধানের থোড় হবার কথা কিন্তু জমিতে পানি না থাকায় অনেক এলাকায় ধান শুকিয়ে মারা গেছে। এদিকে সরকার খরার কারণে আমন চাষ যাতে বিঘি্নত না হয় সেজন্য উত্তরাঞ্চলের বরেন্দ্র এলাকায় কৃষকদের বিনামূল্যে সাড়ে নয় হাজার গভীর নলকূপে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে সেচ সুবিধা দিয়ে রোপা আমনের আওতায় আনে। অনেক কাঠ খর পুড়িয়ে কৃষক রোপা আমনের চাষ আবাদ শুরু করে।

পরিবেশ দূষণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানকে আর ঋণ দেয়া হবে না : বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, পরিবেশ দূষণ করছে এমন কোন শিল্প প্রতিষ্ঠানকে আর ঋণ দেয়া হবে না। তিনি বলেন, যেসব ব্যাংক এসব প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেবে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একই সাথে তিনি পরিবেশ বান্ধব শিল্প প্রকল্পে আরো বেশি ঋণ দিতে তফসিলী ব্যাংকসমূহের প্রতি আহ্বান জানান।

কোরান-হাদিসের আলোকে: সীমালংঘনের পরিণাম জলবায়ু বিপর্যয়

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পৃথিবী সৃষ্টি করে প্রয়োজনানুসারে স্থানে স্থানে স্তরে স্তরে সব কিছুই সাজিয়ে রেখেছেন। মানবজাতির উপকারার্থে এবং শান্তির জন্য। যার ফলে পৃথিবী আপনগতিতে আবহমানকাল চলে আসছে। পৃথিবী অস্থায়ী ও পরিবর্তনশীল এবং এটাই আল্লাহর বিধান। আল্লাহুতাআলা বলেন, আর আমি তো তোমাদের দুনিয়াতে প্রতিষ্ঠিত করেছি এবং তাতে তোমাদের জীবিকার ব্যবস্থাও করেছি। তোমরা খুব অল্পই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। (সুরা আর রাফ-১০)

জলবায়ু পরিবর্তনঃ যে সত্য উপেক্ষিত

বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন উপলক্ষে কোপেনহেগেনে প্রতিদিনই দেখা গেছে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী কার্বন গ্যাস নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিজ্ঞানী, উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতিনিধি ও প্রতিবাদী পরিবেশ আন্দোলনকারীদের ভূমিকা ও প্রস্তাব। কিন্তু উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের সরকারগুলোর কাছে তাদের কোনো আবেদনই পাত্তা পায়নি। ফলে কোপেনহেগেনে এমন কিছু বিষয় বা ধারণা উপেক্ষিত হয়েছে, জলবায়ুর বিপর্যয় থেকে বিশ্বকে সত্যিকার অর্থে রক্ষা করতে সেগুলোর গুরুত্ব অনস্বীকার্য।

বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনকে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে মারাত্মক অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটবে : বান কি মুন

৫ ফেব্রুয়ারি: জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনকে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে মারাত্মক অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটবে। তিনি একই সাথে বিশ্বের সকল দেশকে কার্বন নিগর্মন বন্ধের জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্যও আহবান জানিয়েছেন। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে টেকসই উন্নয়নের উপর তিন দিনব্যাপী এক সেমিনারে ভাষণ দেয়ার সময় তিনি এ আহবান জানান।

বৈরি জলবায়ুর বড় শিকার বাংলাদেশ

ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে গত ৭ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলন। এ সম্মেলন চলবে ১৮ তারিখ পর্যন্ত। এতে যোগ দিচ্ছেন ১৯২টি দেশের প্রতিনিধিরা। দুই সপ্তাহব্যাপী এই সম্মেলনে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমিয়ে আনা, দরিদ্র দেশগুলোর জন্য এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উন্নয়নের জন্য তহবিল গঠন- এসব নিয়েই আলোচনা করবেন তারা। বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ জলবায়ু সমস্যায় শঙ্কিত। ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে মহাদেশগুলোর পানির মজুদ শুকিয়ে যাবে, ক্ষেত-খামার মরুভূমিতে পরিণত হবে। প্রাণীকুলের অর্ধেকের বেশি প্রজাতি হারিয়ে যাবে, অগণিত প্রাণী বাসস্থান হারাবে এবং কোনো কোনো জাতি সম্পূর্ণ পানির নিচে তলিয়ে যাবে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বছরে বিশ্বে মারা যাচ্ছে তিন-লক্ষ মানুষ

জলবায়ু পরিবর্তন-জনিত কারণে বর্তমানে বছরে সারা বিশ্বে মারা যাচ্ছে তিন লক্ষ মানুষ। জাতিসংঘের ভূতপূর্ব মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বাধীন গ্লৌবাল হিউম্যানিটারিয়ান ফৌরামের পক্ষ থেকে শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদন-সূত্রে জানা যাচ্ছে এ-তথ্য। সংস্থার পক্ষ থেকে বিদ্যমান পরিস্থিতিকে নীরব সঙ্কট হিসাবে চিহ্নিত করে সংস্থাটি জানিয়েছে প্রাণহানির ঘটনা ছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনের পরিণতিতে বড়ো-ধরণের ক্ষতির শিকার হচ্ছেন দুনিয়া-ব্যাপী মিলিয়ন-মিলিয়ন মানুষ।

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণই বিশ্বকে জলবায়ু বিপর্যয় থেকে বাঁচাতে পারে

প্রতি চার দিনে পৃথিবীতে এখন জন্ম নিচ্ছে দশ লাখেরও বেশি মানবসন্তান। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে ধরণী এখন ন্যুব্জ। প্রকৃতির স্বাভাবিক আচরণও পাল্টে যাচ্ছে জনসংখ্যার চাপে। ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধে জলবায়ু নিয়ে বিশ্ব নেতারা আলোচনায় বসলেও জনসংখ্যা সমস্যা নিয়ে তাদের যেন কোনও উৎকণ্ঠাই নেই!

পরিবেশের নায়কেরা

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রিয় পৃথিবী যখন বিপন্ন, তখন মানুষকে পরিবেশসচেতন করে পৃথিবীকে বিপর্যয়ের হাত থেকে ফেরাতে কাজ করছেন কিছু মানুষ। কদিন আগে বিখ্যাত টাইম সাময়িকী তেমনি কিছু মানুষকে ‘হিরোজ অব দ্য এনভায়রনমেন্ট’ খেতাবে ভূষিত করেছে। এমন কিছু মানুষের কথা জানাচ্ছেন মাহফুজ রনী।

ভূমিকম্প কি জলবায়ুর অভিশাপ?

অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন, বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের একটি কুফল হলো বিভিন্ন আগ্নেয়গিরিতে ঘন ঘন অগ্ন্যুত্পাত ও ভূমিকম্প। অবশ্য এ নিয়ে বিতর্ক আছে। কয়েক বছর ধরেই এ বিষয়টি নিয়ে গবেষণা ও আলোচনা চলছে। সম্প্রতি হাইতিতে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর প্রশ্নটি বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্তরা জানে না ক্ষতির কারণ

‘দেহি তো গাঙ্গে ঘন ঘন বইন্নার সিঙ্গাল (সিগন্যাল)। নদীতে জাল ফেলি আগের মতো মাছ পোনা ওডে না। প্রত্যেক আমবইস্যা-পূর্ণিমার জোয়ারে বাড়িঘর সব তলাইয়্যা যায়। মনে আয় গাঙ্গের পানি আগের চাইতে অনেক ফুইল্লা উঠছে। দ্যাশে যে কি বইন্না শুরু অইছে কইতে পারি না! আগে তো এমুন আছিলো না। মোগো তো এহন মরণের জোগাড়।’ বরগুনার বিষখালী নদী তীরের গ্রাম ডালভাঙার সত্তরোর্ধ্ব জেলে মোসলেম আলী এমন করেই আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত দুর্ভোগ-দুর্দশার কথা বর্ণনা করছিলেন।

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কৃষিতে নতুন বর্ষপঞ্জি দরকার

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে ভবিষ্যতে দেশের মোট আয়তনের এক-ষষ্ঠমাংশ নিম্নভূমি এবং উপকূলীয় অঞ্চল ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে দেশের কৃষি খাতকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে টিকিয়ে রাখতে হবে। এ জন্য আবহাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুনভাবে কৃষি বিষয়ে বর্ষপঞ্জি তৈরি করা দরকার।

জলবায়ু পরিবর্তনে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে বাংলাদেশ

জলবায়ু পরিবর্তন শুধু মানবজাতির জন্য নয়, সমগ্র প্রাণীকুলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। বৈশ্বিক উষ্ণতা, কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বৃদ্ধির জন্য বিশ্বের শিল্পোন্নত ও ধনী দেশগুলো দায়ী। আর এর ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত ও গরিব দেশগুলো। গত সোমবার ‘বৈদেশিক ঋণ, জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশে দারিদ্র্য পরিস্থিতি’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বন্যার পানিতে টিকে থাকবে এমন তিন জাতের ধান উদ্ভাবন

বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না—এমন তিন জাতের ধান উদ্ভাবন করা হয়েছে। ম্যানিলাভিত্তিক আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইআরআরআই) চার বছর গবেষণা করে বাংলাদেশের মাটিতে এই ধান উদ্ভাবন করেছে। বুধবার ঢাকায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ কথা জানান।

১০০ কিলোমিটার সৈকত রক্ষায় নতুন প্রকল্প

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের ভাঙন রোধে তিন বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এর নাম ‘কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতসংলগ্ন ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সবুজ বেষ্টনী প্রকল্প’। প্রকল্পের আওতায় সৈকতে চার সারিতে বিপুল পরিমাণ নারকেলগাছ লাগানো হবে। এতে ব্যয় হবে প্রায় আড়াই কোটি টাকা।

উপকূলীয় অবকাঠামো জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবিলায় যথেষ্ট নয়

বাংলাদেশের পানি ব্যবস্থাপনার জন্য যেসব অবকাঠামো রয়েছে, জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবিলায় তা যথেষ্ট নয়। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় উপকূলের ১৭ শতাংশ এলাকাকে ডুবে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে হলে উপকূলীয় বেড়িবাঁধগুলোর উচ্চতা আরও সাড়ে চার ফুট বাড়াতে হবে। উপকূলীয় পোল্ডারগুলোর (লবণপানি আটকানোর জন্য তৈরি অবকাঠামো) নকশা পাল্টে মেরামত ও নতুন পোল্ডার তৈরি করার জন্য ৩১ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে চালানো সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ কথা বলা হয়েছে।

শিশুদের জলবায়ু ফোরামের ঘোষণাঃ প্রতিকূলতা মোকাবিলায় শিশুরা প্রস্তুত বড়দেরও সাহসী হতে আহ্বান

পৃথিবীর সবার চোখ যখন জলবায়ু সম্মেলনে, তখন সারা বিশ্বের শিশুরাও সেখানে উপস্থিত। মোট ৪৪টি দেশের ১৬৪ জন শিশু কোপেনহেগেনে উপস্থিত হয়ে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় তাদেরও করণীয় আছে বলে দাবি তুলেছে। তারা একত্রিত হয়ে একটি ঘোষণা তৈরি করেছে এবং নিজেদের দেশে সেটা কার্যকর করার প্রতিজ্ঞা করেছে। গতকাল বুধবার সম্মেলনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি চার শিশু অভিজ্ঞতা বর্ণনাকালে সাংবাদিকদের এসব কথা জানায়।

কক্সবাজারে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনঃ ‘জলবায়ু পরিবর্তন রোধে এগিয়ে আসুন’

‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বিশ্বে যেসব উন্নয়নশীল দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। আর বাংলাদেশের মধ্যে পর্যটন শহর কক্সবাজার আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। উপকূলীয় এলাকা বিলীন হচ্ছে। ভাঙছে দ্বীপাঞ্চলের প্রতিরক্ষা বেড়িবাঁধ ও বসতভিটা। নষ্ট হচ্ছে আবাদি জমি ও সাগর এবং নদীতে দেখা দিয়েছে মাছের আকাল। ভবিষ্যতে এর ভয়াবহতা আরও বাড়বে। তাই জলবায়ু পরিবর্তন রোধে আমরা শিক্ষার্থীরা মাঠে নেমেছি। আপনারাও এগিয়ে আসুন।’

চট্টগ্রামে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ঘণ্টাধ্বনি, মানববন্ধন, শপথ

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে গতকাল রোববার বিকেলে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে মানববন্ধন ও প্রতীকী ঘণ্টাধ্বনি করা হয়েছে।
বেসরকারি সংস্থা কারিতাসের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয় এ মানববন্ধন, ঘণ্টাধ্বনি ও পরিবেশ রক্ষায় শপথবাক্য পাঠ কর্মসূচির আয়োজন করে। মানববন্ধনে প্রায় ৪০০ নারী-পুরুষ অংশ নেয়। কর্মসূচির উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। তিনি সবাইকে পরিবেশ রক্ষার জন্য শপথবাক্য পাঠ করান এবং পরে ঢাকে বাড়ি দিয়ে প্রতীকী ঘণ্টা বাজান।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান শিকার দরিদ্র নারীগোষ্ঠী

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান শিকার দরিদ্র দেশের দরিদ্র শ্রেণীর নারীগোষ্ঠী। দারিদ্র্য, পরিবার ও সমাজে নিজের অবস্থান এবং সন্তান জন্মদান ও লালন-পালনে বেশি যুক্ত থাকার কারণে পুরুষের চেয়ে নারীকে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি বেশি বহন করতে হচ্ছে। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।

পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক শাখা হচ্ছে

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় পাঁচটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক ট্রাস্টি বোর্ড। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ হবে ৫২ কোটি টাকা। এ ছাড়া জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে আলাদা একটি শাখা খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ জন্য এক সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে।

দক্ষিণাঞ্চলে বিকল্প জীবিকার পথ বের করতে হবে

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের ফলে দেশের দক্ষিণাঞ্চল সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে আছে। এই ঝুঁকি মোকাবিলায় সরকারকে এখনই সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে হবে। এ অঞ্চলের মানুষের জন্য বিকল্প জীবিকার পথ বের করতে হবে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মানুষের জীবনও বিপন্ন হবে

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পান্ডার মতো একদিন মানুষের জীবনও বিপন্ন হবে। উন্নত দেশগুলোর শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে বের হওয়া কার্বনের কারণে বাংলাদেশের মানুষ সবচেয়ে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়ছে। গতকাল বুধবার বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদনের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন।

জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে স্বাস্থ্যে

জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে জনস্বাস্থ্যে। বিভিন্ন রোগসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মানুষ আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দেশের চিকিত্সকসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর্মীর এ ব্যাপারে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।

জলবায়ু পরিবর্তনে বেশি ক্ষতি হয়েছে বাংলাদেশের

১৯৯০ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে বাংলাদেশ। এর পরই আছে মিয়ানমার ও হন্ডুরাস। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিবিষয়ক একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। খবর এএফপির।