একথা সর্বজন স্বীকৃত যে ধনী দেশগুলোর শিল্প কারখানা থেকে লাগামহীন অবিরাম কার্বন নির্গমনের জন্যই জলবায়ুর এত মারাত্নক দূষণ ঘটছে। কিন্তু তাই বলে আমরা গরীব দেশের মানুষেরা যে মোটেই এজন্য দায়ী নই তা নয়। আমাদের নিয়ম কানুন, পরিকল্পনা, দৈনন্দিন জীবন যাপনের অভ্যাস এবং সর্বোপরি আমাদের উদাসীনতার জন্যও পরিবেশ তথা জলবায়ুর দুষণ ঘটছে। তাই আমাদেরও সচেতন হতে হবে।
যারা এভাবে প্রকৃতিকে ধ্বংস করছেন তারা কি একবারও এর কুফল সম্পর্কে ভাবছেন?
এভাবেই বাংলাদেশে জনবসতিপূর্ণ স্থানে নির্বিচারে গাছ পুড়িয়ে ইট তৈরী করা হয়। একদিকে নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন অন্যদিকে কার্বনযুক্ত কালো ধুয়া ছড়িয়ে পরিবেশেরে দূষণ ঘটানো বন্ধ করতে হবে।
বিদেশ থেকে স্বল্পমূল্যে দূষিত পুরনো জাহাজ এনে অপরিকল্পিতভাবে এদেশে এনে ভাঙ্গা হচ্ছে। সাগরের পানি ও আশপাশের পরিবেশে এর মারাত্নক প্রভাব পড়ছে।
যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলে পরিবেশকে বিষিয়ে তুলা হচ্ছে। একটু সচেতন হলেই এমনটি হতো না।
কেউ বিশ্বাস করুন আর নাই করুন- এটা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার পাশ দিয়ে বয়ে চলা বুড়িগঙ্গা নদী। অথচ একটু সচেতন হলেই ঢাকা হতে পারতো বন কিংবা ওয়াসিংটন ডিসির মতো কোন পরিচ্ছন্ন নদী ঘেরা মনোরম রাজধানী শহর।
বুড়িগঙ্গায় এভাবেই প্রতিমুহুর্তে জমা হচ্ছে নর্দমা আর পয়:নিষ্কাশনের আবর্জনা।
আসুন আমরা এখনইই সচেতন হই, আগামীর পৃথিবীকে বাসযোগ্য রাখতে চেষ্ঠা করি।
It's true. But that's the reality.
ReplyDelete