গত কয়েক মাসে পৃথিবীতে যে বিষয়টি সম্ভবত সবচেয়ে বেশিবার আলোচিত হয়েছে, তা হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা। আবার জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় ওপরের দিকে আছে বাংলাদেশ। তাই বাংলাদেশের নামটিও আলোচনায় এসেছে বহুবার। বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ার প্রভাবে ভৌগোলিক যে পরিবর্তন হবে, বা এর ফলে শারীরিক যা যা সমস্যা হতে পারে, তা নিয়ে বলা হয়েছে বিস্তর। কিন্তু যে বিষয়টি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে খুব বেশি আলোচিত হয়নি, তা হচ্ছে জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে আক্রান্ত অঞ্চলের মানুষের আচরণগত পরিবর্তনের কথা ও মানসিক সমস্যার কথা।
ভৌগোলিক কারণে বাংলাদেশের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক—বছর বছর বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় তো আছেই; পাশাপাশি বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব এ দেশের ওপর পড়বে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। তার ওপর দারিদ্র্যসীমার কাছাকাছি অবস্থান করায় এবং সুসংহত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অভাবে সব সময় এ দেশের মানুষ এক ধরনের মনঃসামাজিক টানাপোড়েনের মধ্যে থাকে। মানসিক সমস্যা হওয়ার এত উপকরণ থাকায় পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা একটু বেশি মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে রয়েছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আশঙ্কা, ২০২০ সাল নাগাদ বিশ্বব্যাপী মানসিক রোগ আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাবে এবং ২০৫০ সাল নাগাদ তা দ্বিতীয় বৃহত্তম স্বাস্থ্য সমস্যা (প্রথম হবে হূদরোগ) হিসেবে চিহ্নিত হবে। বাংলাদেশও এ আশঙ্কার বাইরে নয়।
বৈরী প্রকৃতির কারণে অতি উদ্বিগ্নতা, খিটখিটে মেজাজ, তীব্র মানসিক চাপ (একিউট স্ট্রেস ডিসঅর্ডার), মানিয়ে চলার সমস্যা (অ্যাডজাস্টমেন্ট ডিসঅর্ডার), আবেগের সমস্যা, বিষণ্নতা থেকে শুরু করে গুরুতর মানসিক রোগ (সাইকোসিস) ও বিপর্যয়-পরবর্তী মানসিক চাপজনিত রোগ (পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার) ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।
শত কোটি বছরের বৃদ্ধ সূর্যের নিচে পুড়তে পুড়তে পৃথিবী প্রতিনিয়ত হারাচ্ছে তার জৌলুশ আর সেই সঙ্গে মানবসৃষ্ট ‘উন্নয়নপ্রবণ’ আবর্জনার জঞ্জালে পৃথিবীর নাভিশ্বাস হওয়ার জোগাড়। জলবায়ু পরিবর্তন আর দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করতে করতে মানুষের দুর্যোগ-পরবর্তী মনোদৈহিক প্রতিক্রিয়াও পরিবর্তিত হয়েছে বারবার।
জলবায়ু পরিবর্তনের তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মানুষ হয়ে যেতে পারে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, আতঙ্কিত বা উৎকণ্ঠিত। হঠাৎ যদি বন্যা বা খরার কারণে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে, তবে তাদের মধ্যে তৈরি হতে পারে তীব্র মানসিক চাপ বা একিউট স্ট্রেস ডিসঅর্ডার। এ সমস্যা কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত থাকতে পারে। হতবিহ্বল হয়ে যাওয়া, তাৎক্ষণিকভাবে কোনো উদ্দীপনায় সাড়া না দেওয়া, অথবা হঠাৎ করে উত্তেজিত হয়ে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করে ফেলতে পারে যে কেউ।
জলবায়ুর পরিবর্তন থেকে হতে পারে যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সেই দুর্যোগের কারণে সামাজিক, অর্থনৈতিক নানা ধরনের ক্ষতি হতে পারে। এই ক্ষতির আশঙ্কা থেকেও তীব্র উৎকণ্ঠা বা অহেতুক ভীতির উদ্রেক হতে পারে; আর এমন ভাবনায় আচ্ছন্ন থাকতে থাকতে তৈরি হতে পারে বিষণ্নতা। আর দুর্যোগ যদি হয়েই যায়, তবে বিষণ্নতায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি। বিষণ্নতার সাধারণ উপসর্গ হচ্ছে বেশির ভাগ সময় মন খারাপ থাকা, কর্মস্পৃহা হারিয়ে ফেলা, চারদিকের জগৎ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া, নিজের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলা, অবসাদে ভোগা, ক্ষুধা কমে যাওয়া, ঘুমের সমস্যা হওয়া এবং গুরুতর ক্ষেত্রে আত্মহত্যার প্রবণতা ও চেষ্টা করা।
আবার জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে মানুষের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। অবস্থাপন্ন একজন কৃষক হতে পারেন সর্বস্বান্ত, কিংবা পরিবর্তন করতে পারেন নিজের পেশা বা গ্রাম থেকে শহরে অভিবাসিত হয়ে যেতে পারেন। সব ক্ষেত্রেই তার মানিয়ে চলার সমস্যা বা অ্যাডজাস্টমেন্ট ডিসঅর্ডার হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘দুর্যোগ-পরবর্তী মনঃসামাজিক পরিচর্যা’ শীর্ষক একটি প্রকাশনায় এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, দুর্যোগের কারণে সৃষ্ট মানসিক চাপ, হতাশা ইত্যাদি কারণে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ার প্রবণতা অনেকাংশে বেড়ে যেতে পারে।
আর আঘাত-পরবর্তী মানসিক সমস্যা বা পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডারের লক্ষণগুলো তীব্র মানসিক চাপজনিত সমস্যার মতো হলেও শুরুটা হয় দুর্যোগের অনেক পরে, আর স্থায়িত্বও হয় অনেক দীর্ঘ। এ সমস্যায় দুর্যোগের স্মৃতি বারবার মনে পড়া, দুর্যোগসংশ্লিষ্ট উদ্দীপককে এড়িয়ে চলা, অতিমাত্রায় সজাগ থাকা, খিটখিটে হয়ে যাওয়া, ঘুমের সমস্যা হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ থাকতে পারে।
আর যারা আগে থেকেই কোনো মানসিক রোগে ভুগছে, দুর্যোগের কারণে তাদের মধ্যে মানসিক রোগের লক্ষণগুলো আরও তীব্র হয়ে উঠতে পারে।
আবার জলবায়ু পরিবর্তন বা দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ কোনো প্রকৃত শারীরিক অসুস্থতা ছাড়াই মানসিক সমস্যার কারণে শারীরিক উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসকের কাছে আসতে পারে। সেখানে দেখা যায়, মানসিক কারণে তাদের মধ্যে মাথাব্যথা, ক্লান্তি, বুক ধড়ফড়, খাদ্যে অরুচি, শরীর ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা তৈরি হয়েছে। এ রোগকে বলা হয় সাইকোসোমাটিক ডিসঅর্ডার। এ সময় মানসিক রোগ চিকিৎসকের সহায়তায় চিকিৎসাসেবা নেওয়া প্রয়োজন।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শরীরের মধ্যে নানা পরিবর্তন হয়, বিশেষত মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটারগুলোর তারতম্য হয়, মনের মধ্যে ঘটে যায় নানা আবেগের টানাপোড়েন। এতে পরিবর্তিত পরিবেশ আর সামাজিক অবস্থানের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হিমশিম খায় মানুষ। ফলে ঘটতে পারে নানা মানসিক বিপর্যয়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ প্রায় শীর্ষে, তার ওপর নিয়মিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের আঘাত তো রয়েছেই।
তাই জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সতর্ক থাকার যে নীতি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো নিয়েছে, সে নীতিমালায় মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। জরুরি মানসিক প্রস্তুতি নেওয়ারও।
ভৌগোলিক কারণে বাংলাদেশের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক—বছর বছর বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় তো আছেই; পাশাপাশি বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব এ দেশের ওপর পড়বে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। তার ওপর দারিদ্র্যসীমার কাছাকাছি অবস্থান করায় এবং সুসংহত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অভাবে সব সময় এ দেশের মানুষ এক ধরনের মনঃসামাজিক টানাপোড়েনের মধ্যে থাকে। মানসিক সমস্যা হওয়ার এত উপকরণ থাকায় পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা একটু বেশি মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে রয়েছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আশঙ্কা, ২০২০ সাল নাগাদ বিশ্বব্যাপী মানসিক রোগ আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাবে এবং ২০৫০ সাল নাগাদ তা দ্বিতীয় বৃহত্তম স্বাস্থ্য সমস্যা (প্রথম হবে হূদরোগ) হিসেবে চিহ্নিত হবে। বাংলাদেশও এ আশঙ্কার বাইরে নয়।
বৈরী প্রকৃতির কারণে অতি উদ্বিগ্নতা, খিটখিটে মেজাজ, তীব্র মানসিক চাপ (একিউট স্ট্রেস ডিসঅর্ডার), মানিয়ে চলার সমস্যা (অ্যাডজাস্টমেন্ট ডিসঅর্ডার), আবেগের সমস্যা, বিষণ্নতা থেকে শুরু করে গুরুতর মানসিক রোগ (সাইকোসিস) ও বিপর্যয়-পরবর্তী মানসিক চাপজনিত রোগ (পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার) ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।
শত কোটি বছরের বৃদ্ধ সূর্যের নিচে পুড়তে পুড়তে পৃথিবী প্রতিনিয়ত হারাচ্ছে তার জৌলুশ আর সেই সঙ্গে মানবসৃষ্ট ‘উন্নয়নপ্রবণ’ আবর্জনার জঞ্জালে পৃথিবীর নাভিশ্বাস হওয়ার জোগাড়। জলবায়ু পরিবর্তন আর দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করতে করতে মানুষের দুর্যোগ-পরবর্তী মনোদৈহিক প্রতিক্রিয়াও পরিবর্তিত হয়েছে বারবার।
জলবায়ু পরিবর্তনের তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মানুষ হয়ে যেতে পারে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, আতঙ্কিত বা উৎকণ্ঠিত। হঠাৎ যদি বন্যা বা খরার কারণে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে, তবে তাদের মধ্যে তৈরি হতে পারে তীব্র মানসিক চাপ বা একিউট স্ট্রেস ডিসঅর্ডার। এ সমস্যা কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত থাকতে পারে। হতবিহ্বল হয়ে যাওয়া, তাৎক্ষণিকভাবে কোনো উদ্দীপনায় সাড়া না দেওয়া, অথবা হঠাৎ করে উত্তেজিত হয়ে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করে ফেলতে পারে যে কেউ।
জলবায়ুর পরিবর্তন থেকে হতে পারে যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সেই দুর্যোগের কারণে সামাজিক, অর্থনৈতিক নানা ধরনের ক্ষতি হতে পারে। এই ক্ষতির আশঙ্কা থেকেও তীব্র উৎকণ্ঠা বা অহেতুক ভীতির উদ্রেক হতে পারে; আর এমন ভাবনায় আচ্ছন্ন থাকতে থাকতে তৈরি হতে পারে বিষণ্নতা। আর দুর্যোগ যদি হয়েই যায়, তবে বিষণ্নতায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি। বিষণ্নতার সাধারণ উপসর্গ হচ্ছে বেশির ভাগ সময় মন খারাপ থাকা, কর্মস্পৃহা হারিয়ে ফেলা, চারদিকের জগৎ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া, নিজের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলা, অবসাদে ভোগা, ক্ষুধা কমে যাওয়া, ঘুমের সমস্যা হওয়া এবং গুরুতর ক্ষেত্রে আত্মহত্যার প্রবণতা ও চেষ্টা করা।
আবার জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে মানুষের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। অবস্থাপন্ন একজন কৃষক হতে পারেন সর্বস্বান্ত, কিংবা পরিবর্তন করতে পারেন নিজের পেশা বা গ্রাম থেকে শহরে অভিবাসিত হয়ে যেতে পারেন। সব ক্ষেত্রেই তার মানিয়ে চলার সমস্যা বা অ্যাডজাস্টমেন্ট ডিসঅর্ডার হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘দুর্যোগ-পরবর্তী মনঃসামাজিক পরিচর্যা’ শীর্ষক একটি প্রকাশনায় এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, দুর্যোগের কারণে সৃষ্ট মানসিক চাপ, হতাশা ইত্যাদি কারণে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ার প্রবণতা অনেকাংশে বেড়ে যেতে পারে।
আর আঘাত-পরবর্তী মানসিক সমস্যা বা পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডারের লক্ষণগুলো তীব্র মানসিক চাপজনিত সমস্যার মতো হলেও শুরুটা হয় দুর্যোগের অনেক পরে, আর স্থায়িত্বও হয় অনেক দীর্ঘ। এ সমস্যায় দুর্যোগের স্মৃতি বারবার মনে পড়া, দুর্যোগসংশ্লিষ্ট উদ্দীপককে এড়িয়ে চলা, অতিমাত্রায় সজাগ থাকা, খিটখিটে হয়ে যাওয়া, ঘুমের সমস্যা হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ থাকতে পারে।
আর যারা আগে থেকেই কোনো মানসিক রোগে ভুগছে, দুর্যোগের কারণে তাদের মধ্যে মানসিক রোগের লক্ষণগুলো আরও তীব্র হয়ে উঠতে পারে।
আবার জলবায়ু পরিবর্তন বা দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ কোনো প্রকৃত শারীরিক অসুস্থতা ছাড়াই মানসিক সমস্যার কারণে শারীরিক উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসকের কাছে আসতে পারে। সেখানে দেখা যায়, মানসিক কারণে তাদের মধ্যে মাথাব্যথা, ক্লান্তি, বুক ধড়ফড়, খাদ্যে অরুচি, শরীর ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা তৈরি হয়েছে। এ রোগকে বলা হয় সাইকোসোমাটিক ডিসঅর্ডার। এ সময় মানসিক রোগ চিকিৎসকের সহায়তায় চিকিৎসাসেবা নেওয়া প্রয়োজন।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শরীরের মধ্যে নানা পরিবর্তন হয়, বিশেষত মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটারগুলোর তারতম্য হয়, মনের মধ্যে ঘটে যায় নানা আবেগের টানাপোড়েন। এতে পরিবর্তিত পরিবেশ আর সামাজিক অবস্থানের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হিমশিম খায় মানুষ। ফলে ঘটতে পারে নানা মানসিক বিপর্যয়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ প্রায় শীর্ষে, তার ওপর নিয়মিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের আঘাত তো রয়েছেই।
তাই জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সতর্ক থাকার যে নীতি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো নিয়েছে, সে নীতিমালায় মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। জরুরি মানসিক প্রস্তুতি নেওয়ারও।
আহমেদ হেলাল
মনোরোগবিদ্যা বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
তথ্যসূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো
No comments:
Post a Comment