Thursday, March 4, 2010

স্বাস্থ্য খাতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। চর্মরোগ, অ্যাজমাসহ অন্যান্য রোগের প্রকোপও বাড়ছে। এসব সমস্যাসহ স্বাস্থ্য খাতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলো চিহ্নিত করতে হবে। এ নিয়ে জনসচেতনতা তৈরি করে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
ডেইলি স্টার ও স্বাস্থ্যবিষয়ক বেসরকারি সংস্থা হেলথ-২১ আয়োজিত ‘জলবায়ু পরিবর্তন স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ কথা বলেন। ডেইলি স্টার কার্যালয়ে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, ইউরোপের দেশগুলোর চেয়ে এশিয়ায় জলবায়ুর ঝুঁকি বেশি। বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি হওয়ায় এখানকার দরিদ্র মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি রশিদ ই মাহবুব বলেন, পরিবেশদূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন—দুটি বিষয় আলাদা করে দেখতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশদূষণের কারণে আগামী দিনে পৃথিবীতে পানির সংকট সবচেয়ে বেশি দেখা দেবে। সরকারের স্বাস্থ্যনীতিতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি ভালোভাবে যুক্ত না হওয়ার কারণ উল্লেখ করে রশিদ ই মাহবুব বলেন, আট-দশজন লোক ঘরে বসে বেশির ভাগ সরকারি নীতি তৈরি করে। তাদের সঙ্গে মাঠের সমস্যার সম্পর্ক কম থাকে।
ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম সমাপনী বক্তব্যে বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও এনজিওগুলো নানা ধরনের কাজ করছে। এসব কাজ জড়ো করে আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা, কারণ ও সমাধান বিষয়ে একটি সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।’
ওয়াটার এইড বাংলাদেশের আবাসিক পরিচালক খায়রুল ইসলাম বলেন, পানির স্বল্পতা ও লবণাক্ততা আগামী দিনে সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দেবে।
এনডেনজার হেলথ বাংলাদেশের আবাসিক পরিচালক আবু জামিলের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য নৃবিজ্ঞানী সরদার আরিফ উদ্দিন। হেলথ-২১-এর পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন সংস্থার পরিচালক (যোগাযোগ) রুমানা দৌলা। এ ছাড়া বক্তব্য দেন ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর এম ওমর আহমেদ এবং জার্মান বৈদেশিকবিষয়ক উন্নয়ন সংস্থার (জিটিজেড) মেলানি লুটজ।

1 comment:

  1. চমৎকার একটি প্রতিবেদন। প্রতিবেদনটি না পড়লে স্বাস্থ্যখাত ও জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত অনেক জটিল বিষয়াু জানা হত না। ধন্যবাদ সংশ্লিষ্ট ব্লগারকে।
    রাজু, ঢাকা।

    ReplyDelete