Friday, April 23, 2010

পৃথিবীকে বাসযোগ্য রাখার কাজের স্বীকৃতি: 'চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ' পুরস্কার পেলেন ছয় পরিবেশপ্রেমী

পরিবেশসংক্রান্ত বিষয়ে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর ছয়জনকে জাতিসংঘের 'চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ' পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমানোর মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর সবুজ অর্থনৈতিক ক্ষেত্র তৈরিতে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখার জন্য তাঁদের এ সম্মানজনক পুরস্কার দেওয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়।
জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং পরিবেশসংক্রান্ত কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক অ্যাকিম স্টেইনার পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন। তাঁরা হলেন গায়ানার প্রেসিডেন্ট ভরত জগদেও। তিনি সে দেশের ফরেস্ট্রি ও ইকোসিস্টেম অবকাঠামোর প্রস্তাবক। এর পরে আছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ নাশিদ। আন্তর্জাতিক জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বিরূপ পরিস্থিতিচিত্রের তিনি একজন বলিষ্ঠ প্রচারক। অন্যরা হলেন আফগানিস্তানের জাতীয় পরিবেশ রক্ষা এজেন্সির মহাপরিচালক প্রিন্স মোস্তাফা জহির, জাপানি ভূ-বিজ্ঞানী ও মহাসমুদ্রে কার্বনচক্রের বিশিষ্ট গবেষক ড. তারো তাকাহাশি, চীনা অভিনেত্রী ও সবুজ জীবন যাপনের গুরু ঝোউ জুন এবং গ্রিন এনার্জির উদ্যোক্তা ও সান মাইক্রোসিস্টেমের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিনোদ খোসলা।
চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ পরিবেশসংক্রান্ত বিষয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সর্বোচ্চ পুরস্কার। জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি (ইউনেপ) এ পুরস্কার দেয়।

'সবুজ নোবেল' পেলেন থুলি মাকামা
আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশ সোয়াজিল্যান্ডের আইনজীবী থুলি মাকামা মর্যাদাপূর্ণ 'গোল্ডম্যান এনভায়রনমেন্টাল ২০১০' পুরস্কার পেয়েছেন। সোয়াজিল্যান্ডে সন্দেহভাজন চোরা শিকারিদের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ করায় তাঁকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তিনি সোয়াজিল্যান্ডের পরিবেশসংক্রান্ত গ্রুপ 'ইয়াঙ্গে নাওয়ে'র প্রধান।
সোয়াজিল্যান্ডের আইনে বনরক্ষীরা চোরা শিকারি প্রতিহত করতে যেকোনো শক্তি প্রয়োগ করতে পারেন। আইনের এ জাতীয় অপব্যবহারের বিরুদ্ধে সোচ্চার মাকামা মনে করেন, সন্দেহভাজন চোরা শিকারিদের গ্রেপ্তার করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় বিচার করা যেতে পারে। কিন্তু তাদের হত্যা করা মেনে নেওয়া যায় না।
দেড় লাখ ডলার অর্থমূল্যের এ পুরস্কার প্রতিবছর বিশ্বের ছয়টি অঞ্চল থেকে ছয়জনকে দেওয়া হয়ে থাকে। সবুজ নোবেল নামে পরিচিত পুরস্কারটি ১৯৯০ সালে চালু করার পর এ পর্যন্ত ৭৯টি দেশের ১৩৯ জনকে দেওয়া হয়েছে। 
সূত্র : এএফপি, এপি।

No comments:

Post a Comment