বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মাত্রায় জলবায়ু পরিবর্তনের শিকারে পরিণত হচ্ছে বাংলাদেশ। এ খবর শুধু গণমাধ্যমের নয়, এর প্রমাণ মিলেছে সরেজমিনে দেখার মাধ্যমেও। আমরা জানি, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই নারী।
Saturday, February 20, 2010
Saturday, February 13, 2010
চিত্রে প্রকৃতির হিংস্র হানা-1
পরিবেশ বদলের শব্দকোষ
এডাপটেশনের সঙ্গে মিটিগেশনের কী পার্থক্য? কার্বন ফুট প্রিন্ট বলতে কি বোঝায়? জলবায়ূ পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত এধরনের কিছু ইংরেজি পারিভাষিক শব্দের সহজ মানে জেনে নিন: এডাপটেশন: অভিযোজন; যেসব পদক্ষেপের ফলে পরিবেশ পরিবর্তনের ক্ষতিকারক প্রভাব কাটিয়ে ওঠা সহজ হয়৻ যেমন, সমূদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়তে থাকলে উপকূল বরাবর বাঁধ নির্মান৻ অথবা, বণ্যা কিংবা খরা সহ্য করতে পারে এমন ধরনের ধান চাষ করা৻ |
প্রশ্নোত্তরে জলবায়ু ও জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলন
![]() |
জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে আপনাদের নানা প্রশ্নের জবাব রয়েছে এখানে:
প্র: কোপেনহেগেন আলোচনা কেন হচ্ছে?
জলবায়ু পরিবর্তনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
![]() |
জলবায়ু পরিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী, বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার, প্রযুক্তিগত পরিবর্তন এবং রাজনৈতিক কর্মসূচী:
১৭১২ - বৃটিশ লোহার কারবারি টমাস নিউকোমেন কর্তৃক প্রথম স্টীম ইঞ্জিন উদ্ভাবন করেন, পরে যার ব্যবহার ব্যাপকভাবে শুরু হয়৻ তাঁর এই আবিষ্কার শিল্প বিপ্লব ও শিল্প-কারখানায় অধিক হারে কয়লা ব্যবহারের পথ সুগম করে।
১৮০০ - বিশ্বের জনসংখ্যা ১০০ কোটিতে পৌঁছায়৻
নতুন আশা ধাপ পদ্ধতির চাষাবাদ
![]() |
পরিবেশ বদলের হাতিয়ার ভাসমান চাষ৻
আবহাওয়ার অস্বাভাবিক আচরনে ক্রমশ: উদ্বেগ বাড়ছে বাংলাদেশে৷ বিশেষ করে অসময়ে বৃষ্টি, বন্যা ক্রমে একটি প্রবণতা হিসেবে দাড়িয়ে যাচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা বলতে শুরু করেছেন৷ আর এই প্রতিকুলতার সাথে কৃষিকে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টায় ভাবা হচ্ছে বহু পুরোনো কিন্তু প্রায় অজানা এক চাষাবাদ পদ্ধতির কথা ৷
হুমকির মুখে সুন্দরবন, দিশেহারা মানুষ
![]() |
অতি লবণাক্ততায় মরে যাচ্ছে উপকূলীয় বাদাবন৻
নদী-খাল-জমিতে ক্রমবর্ধমান লবণাক্ততায় বিপর্যস্ত হচ্ছে সুন্দরববনের জীব বৈচিত্র এবং প্রাকৃতিক সম্পদ৷ সেই সাথে দিশেহারা হয়ে পড়ছে সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল মানুষজন৷
নোনা পানিতে নতুন ধান চাষ
![]() |
নোনা মাটিতে নতুন ফসলের হাসি৻
বাংলাদেশের উপকূলের পুরোটা জুড়ে উপকূল জুড়ে খাবার জল আর কৃষি জমিতে লবনের মাত্রা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে৻ তবে নোনা পানির এই দূর্যোগের সাথে খাপ খাওয়াতে নতুন এক প্রজাতির ধান চাষ কিছুটা স্বস্তি আনছে খুলনা, সাতক্ষীরার লবন প্রবন এলাকায় কৃষকদের মধ্যে৷
অজানা আশংকায় দ্বীপের জীবন
![]() |
বঙ্গোপসাগরের কোলে ছোট দ্বীপগুলির নিরাপত্তা নিয়ে হুমকি৻
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে যে সব জনপদের, তার প্রথম সারিতে রয়েছে মেঘনার মোহনায় ছোট, মাঝারি দ্বীপগুলো৷ কিন্তু ধেয়ে আসা এই দূর্যোগের জন্য তাদের দায় কতটুকু ?
নোনা জমি আঁকড়ে বেঁচে আছেন কৃষক
![]() |
জোয়ার ভাটায় ক্ষতবিক্ষত উপকূল
বাংলাদেশের উপকূলে গত দু বছরে পর পর দুটো ভয়াবহ সামুদ্রিক ঝড় বয়ে গেছে৷ ২০০৭ এর নভেম্বরে সিডর, আর তার ছয়মাসের মাথায় আয়লা৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘন ঘন এসব ঝড়-জলোচ্ছ্বাস জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান একটি উপসর্গ৷ উপর্যূপরি এসব প্রাকৃতিক দূর্যোগ কতটা বিপন্ন করে তুলেছে উপকূলের বাসিন্দাদের ?
জীবিকার সঙ্কটে উপকূলের জেলেরা
![]() |
উপকূলীয় মাছের বন্দরে মন্দাভাব
বাংলাদেশে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপ বেড়ে ঝড়ঝঞ্ঝার প্রকোপ বছরে বছরে বাড়ছে৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘন ঘন এসব ঝড়-জলোচ্ছ্বাস জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান একটি উপসর্গ৷ আর এ দূর্যোগে জীবিকা নিয়ে তীব্র সঙ্কটে পড়েছেন উপকূলের জেলে সম্প্রদায়৻
মেঘনার ভাঙ্গনে ঘরছাড়া লক্ষ মানুষ
![]() |
মেঘনার নদী গ্রাস করছে বহু মানুষের ভিটেমাটি৻
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উত্তাপ বাড়ছে, সমুদ্র ক্রমশ স্ফীত এবং উত্তাল হচ্ছে৷ বিশেষজ্ঞরা এখন এই প্রবণতা নিশ্চিত করছেন, এবং বলছেন এর প্রভাবে বাড়ছে নদী ভাঙ্গন৷ নদী পাড়ের মানুষ কতটা টের পাচেছন তা?
জলবায়ু পরিবর্তনঃ চাষাবাদে বিপর্যয়, ফসলহানির আশঙ্কা
জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে রোপা আমন, আমন, আউশ, পাটসহ কৃষি ফসলের শতকরা ৭০ ভাগ ফলনহানির আশঙ্কা করছে কৃষি বিভাগ। যে সময় বর্ষা বা বৃষ্টি হবার কথা সে সময় না হয়ে শরতকালে অতিবৃষ্টি হওয়ায় নতুন করে কৃষি সেক্টরে এই ফসলহানির আশঙ্কা করছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। শরতের মাঝামাঝিতে আমন ধানের থোড় হবার কথা কিন্তু জমিতে পানি না থাকায় অনেক এলাকায় ধান শুকিয়ে মারা গেছে। এদিকে সরকার খরার কারণে আমন চাষ যাতে বিঘি্নত না হয় সেজন্য উত্তরাঞ্চলের বরেন্দ্র এলাকায় কৃষকদের বিনামূল্যে সাড়ে নয় হাজার গভীর নলকূপে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে সেচ সুবিধা দিয়ে রোপা আমনের আওতায় আনে। অনেক কাঠ খর পুড়িয়ে কৃষক রোপা আমনের চাষ আবাদ শুরু করে।
পরিবেশ দূষণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানকে আর ঋণ দেয়া হবে না : বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, পরিবেশ দূষণ করছে এমন কোন শিল্প প্রতিষ্ঠানকে আর ঋণ দেয়া হবে না। তিনি বলেন, যেসব ব্যাংক এসব প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেবে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একই সাথে তিনি পরিবেশ বান্ধব শিল্প প্রকল্পে আরো বেশি ঋণ দিতে তফসিলী ব্যাংকসমূহের প্রতি আহ্বান জানান।
কোরান-হাদিসের আলোকে: সীমালংঘনের পরিণাম জলবায়ু বিপর্যয়
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পৃথিবী সৃষ্টি করে প্রয়োজনানুসারে স্থানে স্থানে স্তরে স্তরে সব কিছুই সাজিয়ে রেখেছেন। মানবজাতির উপকারার্থে এবং শান্তির জন্য। যার ফলে পৃথিবী আপনগতিতে আবহমানকাল চলে আসছে। পৃথিবী অস্থায়ী ও পরিবর্তনশীল এবং এটাই আল্লাহর বিধান। আল্লাহুতাআলা বলেন, আর আমি তো তোমাদের দুনিয়াতে প্রতিষ্ঠিত করেছি এবং তাতে তোমাদের জীবিকার ব্যবস্থাও করেছি। তোমরা খুব অল্পই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। (সুরা আর রাফ-১০)
জলবায়ু পরিবর্তনঃ যে সত্য উপেক্ষিত
বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন উপলক্ষে কোপেনহেগেনে প্রতিদিনই দেখা গেছে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী কার্বন গ্যাস নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিজ্ঞানী, উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতিনিধি ও প্রতিবাদী পরিবেশ আন্দোলনকারীদের ভূমিকা ও প্রস্তাব। কিন্তু উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের সরকারগুলোর কাছে তাদের কোনো আবেদনই পাত্তা পায়নি। ফলে কোপেনহেগেনে এমন কিছু বিষয় বা ধারণা উপেক্ষিত হয়েছে, জলবায়ুর বিপর্যয় থেকে বিশ্বকে সত্যিকার অর্থে রক্ষা করতে সেগুলোর গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনকে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে মারাত্মক অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটবে : বান কি মুন
৫ ফেব্রুয়ারি: জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনকে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে মারাত্মক অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটবে। তিনি একই সাথে বিশ্বের সকল দেশকে কার্বন নিগর্মন বন্ধের জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্যও আহবান জানিয়েছেন। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে টেকসই উন্নয়নের উপর তিন দিনব্যাপী এক সেমিনারে ভাষণ দেয়ার সময় তিনি এ আহবান জানান।
বৈরি জলবায়ুর বড় শিকার বাংলাদেশ
ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে গত ৭ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলন। এ সম্মেলন চলবে ১৮ তারিখ পর্যন্ত। এতে যোগ দিচ্ছেন ১৯২টি দেশের প্রতিনিধিরা। দুই সপ্তাহব্যাপী এই সম্মেলনে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমিয়ে আনা, দরিদ্র দেশগুলোর জন্য এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উন্নয়নের জন্য তহবিল গঠন- এসব নিয়েই আলোচনা করবেন তারা। বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ জলবায়ু সমস্যায় শঙ্কিত। ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে মহাদেশগুলোর পানির মজুদ শুকিয়ে যাবে, ক্ষেত-খামার মরুভূমিতে পরিণত হবে। প্রাণীকুলের অর্ধেকের বেশি প্রজাতি হারিয়ে যাবে, অগণিত প্রাণী বাসস্থান হারাবে এবং কোনো কোনো জাতি সম্পূর্ণ পানির নিচে তলিয়ে যাবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বছরে বিশ্বে মারা যাচ্ছে তিন-লক্ষ মানুষ
জলবায়ু পরিবর্তন-জনিত কারণে বর্তমানে বছরে সারা বিশ্বে মারা যাচ্ছে তিন লক্ষ মানুষ। জাতিসংঘের ভূতপূর্ব মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বাধীন গ্লৌবাল হিউম্যানিটারিয়ান ফৌরামের পক্ষ থেকে শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদন-সূত্রে জানা যাচ্ছে এ-তথ্য। সংস্থার পক্ষ থেকে বিদ্যমান পরিস্থিতিকে ‘নীরব সঙ্কট’ হিসাবে চিহ্নিত করে সংস্থাটি জানিয়েছে প্রাণহানির ঘটনা ছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনের পরিণতিতে বড়ো-ধরণের ক্ষতির শিকার হচ্ছেন দুনিয়া-ব্যাপী মিলিয়ন-মিলিয়ন মানুষ।
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণই বিশ্বকে জলবায়ু বিপর্যয় থেকে বাঁচাতে পারে
প্রতি চার দিনে পৃথিবীতে এখন জন্ম নিচ্ছে দশ লাখেরও বেশি মানবসন্তান। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে ধরণী এখন ন্যুব্জ। প্রকৃতির স্বাভাবিক আচরণও পাল্টে যাচ্ছে জনসংখ্যার চাপে। ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধে জলবায়ু নিয়ে বিশ্ব নেতারা আলোচনায় বসলেও জনসংখ্যা সমস্যা নিয়ে তাদের যেন কোনও উৎকণ্ঠাই নেই!
পরিবেশের নায়কেরা
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রিয় পৃথিবী যখন বিপন্ন, তখন মানুষকে পরিবেশসচেতন করে পৃথিবীকে বিপর্যয়ের হাত থেকে ফেরাতে কাজ করছেন কিছু মানুষ। কদিন আগে বিখ্যাত টাইম সাময়িকী তেমনি কিছু মানুষকে ‘হিরোজ অব দ্য এনভায়রনমেন্ট’ খেতাবে ভূষিত করেছে। এমন কিছু মানুষের কথা জানাচ্ছেন মাহফুজ রনী।
ভূমিকম্প কি জলবায়ুর অভিশাপ?
অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন, বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের একটি কুফল হলো বিভিন্ন আগ্নেয়গিরিতে ঘন ঘন অগ্ন্যুত্পাত ও ভূমিকম্প। অবশ্য এ নিয়ে বিতর্ক আছে। কয়েক বছর ধরেই এ বিষয়টি নিয়ে গবেষণা ও আলোচনা চলছে। সম্প্রতি হাইতিতে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর প্রশ্নটি বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানে না ক্ষতির কারণ
‘দেহি তো গাঙ্গে ঘন ঘন বইন্নার সিঙ্গাল (সিগন্যাল)। নদীতে জাল ফেলি আগের মতো মাছ পোনা ওডে না। প্রত্যেক আমবইস্যা-পূর্ণিমার জোয়ারে বাড়িঘর সব তলাইয়্যা যায়। মনে আয় গাঙ্গের পানি আগের চাইতে অনেক ফুইল্লা উঠছে। দ্যাশে যে কি বইন্না শুরু অইছে কইতে পারি না! আগে তো এমুন আছিলো না। মোগো তো এহন মরণের জোগাড়।’ বরগুনার বিষখালী নদী তীরের গ্রাম ডালভাঙার সত্তরোর্ধ্ব জেলে মোসলেম আলী এমন করেই আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত দুর্ভোগ-দুর্দশার কথা বর্ণনা করছিলেন।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কৃষিতে নতুন বর্ষপঞ্জি দরকার
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে ভবিষ্যতে দেশের মোট আয়তনের এক-ষষ্ঠমাংশ নিম্নভূমি এবং উপকূলীয় অঞ্চল ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে দেশের কৃষি খাতকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে টিকিয়ে রাখতে হবে। এ জন্য আবহাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুনভাবে কৃষি বিষয়ে বর্ষপঞ্জি তৈরি করা দরকার।
জলবায়ু পরিবর্তনে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে বাংলাদেশ
জলবায়ু পরিবর্তন শুধু মানবজাতির জন্য নয়, সমগ্র প্রাণীকুলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। বৈশ্বিক উষ্ণতা, কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বৃদ্ধির জন্য বিশ্বের শিল্পোন্নত ও ধনী দেশগুলো দায়ী। আর এর ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত ও গরিব দেশগুলো। গত সোমবার ‘বৈদেশিক ঋণ, জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশে দারিদ্র্য পরিস্থিতি’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বন্যার পানিতে টিকে থাকবে এমন তিন জাতের ধান উদ্ভাবন
বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না—এমন তিন জাতের ধান উদ্ভাবন করা হয়েছে। ম্যানিলাভিত্তিক আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইআরআরআই) চার বছর গবেষণা করে বাংলাদেশের মাটিতে এই ধান উদ্ভাবন করেছে। বুধবার ঢাকায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ কথা জানান।
১০০ কিলোমিটার সৈকত রক্ষায় নতুন প্রকল্প
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের ভাঙন রোধে তিন বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এর নাম ‘কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতসংলগ্ন ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সবুজ বেষ্টনী প্রকল্প’। প্রকল্পের আওতায় সৈকতে চার সারিতে বিপুল পরিমাণ নারকেলগাছ লাগানো হবে। এতে ব্যয় হবে প্রায় আড়াই কোটি টাকা।
উপকূলীয় অবকাঠামো জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবিলায় যথেষ্ট নয়
বাংলাদেশের পানি ব্যবস্থাপনার জন্য যেসব অবকাঠামো রয়েছে, জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবিলায় তা যথেষ্ট নয়। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় উপকূলের ১৭ শতাংশ এলাকাকে ডুবে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে হলে উপকূলীয় বেড়িবাঁধগুলোর উচ্চতা আরও সাড়ে চার ফুট বাড়াতে হবে। উপকূলীয় পোল্ডারগুলোর (লবণপানি আটকানোর জন্য তৈরি অবকাঠামো) নকশা পাল্টে মেরামত ও নতুন পোল্ডার তৈরি করার জন্য ৩১ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে চালানো সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ কথা বলা হয়েছে।
শিশুদের জলবায়ু ফোরামের ঘোষণাঃ প্রতিকূলতা মোকাবিলায় শিশুরা প্রস্তুত বড়দেরও সাহসী হতে আহ্বান
পৃথিবীর সবার চোখ যখন জলবায়ু সম্মেলনে, তখন সারা বিশ্বের শিশুরাও সেখানে উপস্থিত। মোট ৪৪টি দেশের ১৬৪ জন শিশু কোপেনহেগেনে উপস্থিত হয়ে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় তাদেরও করণীয় আছে বলে দাবি তুলেছে। তারা একত্রিত হয়ে একটি ঘোষণা তৈরি করেছে এবং নিজেদের দেশে সেটা কার্যকর করার প্রতিজ্ঞা করেছে। গতকাল বুধবার সম্মেলনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি চার শিশু অভিজ্ঞতা বর্ণনাকালে সাংবাদিকদের এসব কথা জানায়।
কক্সবাজারে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনঃ ‘জলবায়ু পরিবর্তন রোধে এগিয়ে আসুন’
‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বিশ্বে যেসব উন্নয়নশীল দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। আর বাংলাদেশের মধ্যে পর্যটন শহর কক্সবাজার আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। উপকূলীয় এলাকা বিলীন হচ্ছে। ভাঙছে দ্বীপাঞ্চলের প্রতিরক্ষা বেড়িবাঁধ ও বসতভিটা। নষ্ট হচ্ছে আবাদি জমি ও সাগর এবং নদীতে দেখা দিয়েছে মাছের আকাল। ভবিষ্যতে এর ভয়াবহতা আরও বাড়বে। তাই জলবায়ু পরিবর্তন রোধে আমরা শিক্ষার্থীরা মাঠে নেমেছি। আপনারাও এগিয়ে আসুন।’
চট্টগ্রামে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ঘণ্টাধ্বনি, মানববন্ধন, শপথ
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে গতকাল রোববার বিকেলে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে মানববন্ধন ও প্রতীকী ঘণ্টাধ্বনি করা হয়েছে।
বেসরকারি সংস্থা কারিতাসের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয় এ মানববন্ধন, ঘণ্টাধ্বনি ও পরিবেশ রক্ষায় শপথবাক্য পাঠ কর্মসূচির আয়োজন করে। মানববন্ধনে প্রায় ৪০০ নারী-পুরুষ অংশ নেয়। কর্মসূচির উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। তিনি সবাইকে পরিবেশ রক্ষার জন্য শপথবাক্য পাঠ করান এবং পরে ঢাকে বাড়ি দিয়ে প্রতীকী ঘণ্টা বাজান।
বেসরকারি সংস্থা কারিতাসের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয় এ মানববন্ধন, ঘণ্টাধ্বনি ও পরিবেশ রক্ষায় শপথবাক্য পাঠ কর্মসূচির আয়োজন করে। মানববন্ধনে প্রায় ৪০০ নারী-পুরুষ অংশ নেয়। কর্মসূচির উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। তিনি সবাইকে পরিবেশ রক্ষার জন্য শপথবাক্য পাঠ করান এবং পরে ঢাকে বাড়ি দিয়ে প্রতীকী ঘণ্টা বাজান।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান শিকার দরিদ্র নারীগোষ্ঠী
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান শিকার দরিদ্র দেশের দরিদ্র শ্রেণীর নারীগোষ্ঠী। দারিদ্র্য, পরিবার ও সমাজে নিজের অবস্থান এবং সন্তান জন্মদান ও লালন-পালনে বেশি যুক্ত থাকার কারণে পুরুষের চেয়ে নারীকে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি বেশি বহন করতে হচ্ছে। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক শাখা হচ্ছে
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় পাঁচটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক ট্রাস্টি বোর্ড। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ হবে ৫২ কোটি টাকা। এ ছাড়া জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে আলাদা একটি শাখা খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ জন্য এক সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে।
দক্ষিণাঞ্চলে বিকল্প জীবিকার পথ বের করতে হবে
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের ফলে দেশের দক্ষিণাঞ্চল সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে আছে। এই ঝুঁকি মোকাবিলায় সরকারকে এখনই সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে হবে। এ অঞ্চলের মানুষের জন্য বিকল্প জীবিকার পথ বের করতে হবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মানুষের জীবনও বিপন্ন হবে
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পান্ডার মতো একদিন মানুষের জীবনও বিপন্ন হবে। উন্নত দেশগুলোর শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে বের হওয়া কার্বনের কারণে বাংলাদেশের মানুষ সবচেয়ে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়ছে। গতকাল বুধবার বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদনের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে স্বাস্থ্যে
জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে জনস্বাস্থ্যে। বিভিন্ন রোগসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মানুষ আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দেশের চিকিত্সকসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর্মীর এ ব্যাপারে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
জলবায়ু পরিবর্তনে বেশি ক্ষতি হয়েছে বাংলাদেশের
১৯৯০ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে বাংলাদেশ। এর পরই আছে মিয়ানমার ও হন্ডুরাস। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিবিষয়ক একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। খবর এএফপির।
Friday, February 12, 2010
ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হিমালয়
বায়ুমন্ডলের উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতমালা হিমালয়৷ গলে যাচ্ছে হিমালয়ের হিমবাহগুলো৷ র ফলে একদিকে যেমন ব্যাপক বন্যার ঝুঁকি রয়েছে হিমালয়ের পাদদেশের বিভিন্ন জনবসতিতে, আরেক দিকে তেমনি সাগরে তলিয়ে যাওয়ার আশংকায় রয়েছে নিম্ন এলাকার দেশগুলো৷ .....ডয়েচে ভেলের এই ফিচারটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন
মানুষের কারণে উত্তপ্ত হচ্ছে পৃথিবী
জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম কারণ হিসেবে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্ব উষ্ণায়নের কথা আমরা জানি৷ সম্প্রতি সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা প্রায় একমত হয়েছেন যে বিগত দুই শতাব্দীতে বিশ্বের উষ্ণতা বেড়েছে এবং এর মূল কারণ হচ্ছে মানুষ৷.......ডয়েচে ভেলের এই ফিচারটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন
বাংলাদেশ বাঁচলেই বিশ্ব বাঁচবে
জলবায়ু পরিবর্তনের গতি ও মাত্রা হয়তো সবচেয়ে নমনীয় ভবিষ্যদ্বাণীকেও ছাপিয়ে গেছে। জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি ও আইপিসিসি
‘পাগল’ প্রকৃতি
দরকার সমন্বিত বিজ্ঞানভিত্তিক বিশ্ব কর্মসূচি
বন্যা, খরা, সুনামি বা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিকর প্রভাব দেখা যাচ্ছে বিশ্বজুড়ে—আর তা মোকাবিলার লক্ষ্যেই সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে চলছে পাঁচ দিনব্যাপী তৃতীয় বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন। এ ধরনের প্রথম এবং দ্বিতীয় আয়োজনগুলো হয়েছিল এই জেনেভা শহরেই ১৯৭৯ এবং ১৯৯২ সালে, জাতিসংঘের জলবায়ুবিষয়ক প্যানেলের অধীনে।
রাজনীতিবিদেরা যা বুঝছেন না
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আমি বহু বছর থেকে কাজ করে আসছি। প্রথমে গবেষক হিসেবে আমার দেশ বাংলাদেশে, পরে আন্তর্জাতিক স্তরে। আফ্রিকার ঊষর অঞ্চলে, হিমালয় পর্বতে এবং এশিয়ার বদ্বীপগুলোর বিপুল বিস্তৃত নিম্নভূমিতে কীভাবে জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে, তা আমি চাক্ষুষ করেছি। বছরের পর বছর আমি জাতিসংঘের নিষ্ফল জলবায়ুবিষয়ক সম্মেলনও দেখেছি। এগুলো কোনো অবদানই রাখতে পারেনি, কারণ আলোচকেরা আগামী প্রজন্মকে সুরক্ষার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার বদলে সংকীর্ণ জাতীয় ও অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করতেই ব্যতিব্যস্ত ছিলেন।
জলবায়ু নিয়ে জুয়া
ক্রমবর্ধমান সংশয় ও আলোচনায় অচলাবস্থার ফল হিসেবে শোনা যাচ্ছে কোপেনহেগেন সম্মেলনে সমন্বিত বৈশ্বিক জলবায়ু পরিকল্পনা গ্রহণ করা সম্ভব হবে না। হতাশাব্যঞ্জক? নিশ্চয়ই। তবে কোপেনহেগেন জলবায়ু সম্মেলনকে সব সময় এক পর্যায় থেকে অন্য পর্যায়ে উত্তরণের মধ্যবর্তী পদক্ষেপ বলে গণ্য করা হয়েছে। এখান থেকে আমরা কত দূর যাব, সে প্রশ্নটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
মোকাবিলা কৌশল নিয়ে বিরোধের মূলে বাণিজ্যস্বার্থ
জলবায়ু ও পরিবেশ আন্দোলন বর্তমান বিশ্বের সর্বাধিক আলোচিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনকে কেন্দ্র করে পুরো বিষয়টি এখন সর্বত্র আলোচনা ও উদ্বেগের বিষয়। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সর্বাধিক প্রভাবিত দেশগুলোর অন্যতম।
স্থানীয় উদ্যোগ ও সচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই
পরিবেশ রক্ষার অঙ্গীকার
গত শনিবার কক্সবাজার ও রাঙামাটিতে স্থানীয় জনগণ পাহাড়, বন, হ্রদ ধ্বংস না করার অঙ্গীকার করেছে। জনপ্রতিনিধি, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ সমবেত হয়েছেন পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার দাবিতে। একটি সুন্দর পৃথিবী রেখে যাওয়ার লক্ষ্যে নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের এমন সম্মিলন নিঃসন্দেহে আশাব্যঞ্জক।
Thursday, February 11, 2010
ব্যর্থ হলে আমাদের সন্তানেরা ক্ষমা করবে না
ইতিহাসজুড়ে মানবের সমস্ত প্রগতি ঘটেছে সুদূরপ্রসারী পরিবর্তনের স্বপ্ন আর বাধা অতিক্রমের লড়াকু মানসিকতার জন্য। অনেকে তখন বলেছে, এমন স্বপ্ন আমাদের আওতার বাইরে, এসব বাধা অনতিক্রম্য। তার পরও মানুষ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেছে, বাধা অতিক্রমের লড়াই চালিয়ে গেছে।
কারও কারও জন্য সুখবর!
বিশ্বের উষ্ণায়নে আমরা যত উদ্বিগ্ন, পৃথিবীর সবাই নিশ্চয়ই তেমন নয়। ধরা যাক বিশাল গ্রিনল্যান্ডের কথা। উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর ও উত্তর মেরু অঞ্চলের বিশাল দ্বীপদেশ গ্রিনল্যান্ড। আয়তনে ফ্রান্সের প্রায় চার গুণ কিন্তু জনসংখ্যা সব মিলিয়ে মাত্র ৫৬ হাজার। সম্প্রতি গ্রিনল্যান্ডে কয়েকটি সাড়াজাগানো ঘটনা ঘটেছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার বৃহত্তর রাজশাহী অঞ্চল
আজ পৃথিবীর দিকে তাকালে দেখা যাবে, পৃথিবীজুড়েই বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় ও হারিকেনের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন দেশের আবহাওয়া হারাচ্ছে তার স্বকীয়তা। উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশ হারাচ্ছে তার ষড়্ঋতুর খেলা, একেবারেই হারিয়ে গেছে দুই ঋতু শরত্ ও হেমন্ত। নেই বর্ষার সময় বৃষ্টি, নেই শীতের সময় শীত (এ বছরের শীত বহুদিনের মধ্যে ব্যতিক্রম)। মনে হচ্ছে, একটি ঋতু গ্রীষ্মই যেন এখন প্রভাব বিস্তার করে আছে।
জলবায়ু পরিবর্তন-বিষয়ক পৃথক মন্ত্রণালয় করতে হবে
পরিবেশবিদ ড. আতিক রহমানের বিশেষ সাক্ষাত্কার
জন্ম ১৯৫০ সালে। আদিবাড়ি পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায়। ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করার পর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়নবিজ্ঞানে। ১৯৭৩ সালে মাস্টার্স করার পর কিছুদিন তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। ১৯৭৪ সালে কমনওয়েলথ স্কলারশিপ নিয়ে লন্ডনের ব্রুনেল বিশ্ববিদ্যালয়ে যান এবং ১৯৭৭ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি প্রায় দেড় দশক যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করেন। ড. আতিক রহমান নোবেল বিজয়ী জাতিসংঘের আন্তসরকার জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত প্যানেল—আইপিসিসির সদস্য। তিনি জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) ‘চ্যাম্পিয়ন অব দি আর্থ পদক ২০০৮’ পেয়েছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজের (বিসিএএস) নির্বাহী পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন।
দীর্ঘ পথের যাত্রা
বিশ্বপরিসরে ২০০৯ সালের সবচেয়ে বড় ঘটনাগুলোর অন্যতম বছর শেষে কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন। ইউরোপের বাড়াবাড়ি শীতে এবারের অতি উত্সাহের কোপেনহেগেনের ব্যর্থ শীর্ষ সম্মেলনের উত্তাপ দ্রুতই মিলিয়ে গেল।
জলবায়ু শরণার্থী ও বাংলাদেশ
পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তন সারা বিশ্বের রাজনৈতিক নেতাসহ সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে সাম্প্রতিক সময়ে খুব বেশি ভাবিয়ে তুলেছে। প্রতিনিয়ত পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা দ্রুত বাড়ছে। ফলে ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রসহ বাংলাদেশের জন্য তাপমাত্রার বৃদ্ধি হবে অত্যন্ত ভয়াবহ। বাংলাদেশের বিভিন্ন গবেষণায় এখন পর্যন্ত যা দেখা যাচ্ছে, তাতে জলবায়ুর পরিবর্তন বিভিন্ন সেক্টরকে প্রতিঘাত করবে, যার মধ্যে একটি হচ্ছে বিশাল জনগোষ্ঠীর বাস্তুচ্যুতি।
জলবায়ু বিপর্যয় রোধে এখনই সক্রিয় হতে হবে
মালদ্বীপের সাগরতলে বৈঠক
জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ বিপদ সম্পর্কে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণের উদ্দেশ্যে সমুদ্রের পানির নিচে ডুবন্ত অবস্থায় মালদ্বীপ মন্ত্রিসভার যে বৈঠক হয়েছে, তাকে শুধু প্রতীকী অর্থে বিবেচনা করলেই চলবে না। যদি বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোর বিবেক জাগ্রত না হয় তাহলে মালদ্বীপ তো বটেই, বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশের উপকূলীয় নিম্নাঞ্চলও সাগরে ডুবে যেতে পারে। এর ফলে বিশ্বে দেখা দেবে অভাবনীয় জলবায়ু-উদ্বাস্তু, যা সৃষ্টি করবে নতুন নিরাপত্তা-সমস্যা।
দীর্ঘমেয়াদী জলবায়ু পূর্বাভাস ও আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রয়োজন
বিশেষ সাক্ষাত্কার রাশেদ চৌধুরী
রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। একই সঙ্গে তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাসিফিক এনসো অ্যাপলিকেশন ক্লাইমেট সেন্টারে মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে কাজ করেছেন ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব ক্লাইমেট প্রেডিকশনসহ (আইআরআই) বিভিন্ন দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানে। পড়াশোনা করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটে। জাপানের ত্সুকুবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবান অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সিস্টেমে পিএইচডি অর্জন করেন। তিনি পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির পূর্বাভাসদানের মডেলের প্রণেতা। তাঁর জন্ম ১৯৬০ সালে। এ সাক্ষাত্কারে তিনি সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের ধরন এবং আবহাওয়া ও বন্যা পূর্বাভাসব্যবস্থা সংস্কারের বিষয়টি তুলে ধরেছেন।
প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে সুরক্ষা চাই
মানুষ প্রকৃতির ওপর দীর্ঘদিন ধরেই অত্যাচার করে আসছে। প্রকৃতি মাঝেমধ্যে তার ভাষায় এই অত্যাচারের প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু মানুষ এ প্রতিবাদ আমলে নেয়নি। এখন প্রকৃতি তার অমোঘ নিয়মে অত্যাচারের প্রতিশোধ নিতে ধেয়ে আসছে।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রস্তুতির এখনই সময়
মানবজাতির জন্য সবচেয়ে বড় যে দুর্যোগ হামাগুড়ি দিয়ে আসছে, তা হলো জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিপর্যয়। বিশেষ করে বাংলাদেশেই এর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি হবে বলে জাতিসংঘের আইপিসিসি বিশেষজ্ঞ ও জলবায়ুবিজ্ঞানীরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
বাংলাদেশের নিয়তি কি কেবলই ডুবে যাওয়া?
শেষ পর্যন্ত এই-ই হলো। দুনিয়াকে যারা বিষিয়ে তুলেছে, যারা জলবায়ুর বিপর্যয় ঘটিয়েছে, তারা কোপেনগেহেনে জড়ো হয়েছে এটাই বলার জন্য যে, বৈজ্ঞানিক হুঁশিয়ারির তোয়াক্কা না করে তারা তাদের জ্বালানো-পোড়ানো চালিয়ে যাবে।
আসুন, সবুজ হই
আমার মুঠোফোনটা চার্জারের তার থেকে বিচ্ছিন্ন করার সঙ্গে সঙ্গে একটা লেখা ভেসে ওঠে পর্দায়, আপনার চার্জারটা খুলে রাখুন, এতে কিছু বিদ্যুত্ অপচয় রোধ হবে। একটা চার্জার যদি মুঠোফোনের সঙ্গে যুক্ত না থাকে, কতটুকুন আর বিদ্যুত্ খরচ হবে। কিন্তু ওই অতটুকুন বিদ্যুত্ও বেশি খরচ করতে নেই। সবাই যদি একটু একটু করে বিদ্যুত্ সাশ্রয় করে, তাহলে তা একত্র হয়ে সাশ্রয়ের পরিমাণটাকে করে তুলবে বিশাল।
Wednesday, February 10, 2010
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও খাদ্যাভ্যাস
বর্তমান সময়ে জলবায়ু পরিবর্তন ও এর সম্ভাব্য প্রভাব বাংলাদেশসহ বিশ্বে একটি বহুল আলোচিত বিষয়। দেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এর প্রভাবে আমাদের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করবে। ফলে খাদ্যনিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে।
Subscribe to:
Posts (Atom)