‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বিশ্বে যেসব উন্নয়নশীল দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। আর বাংলাদেশের মধ্যে পর্যটন শহর কক্সবাজার আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। উপকূলীয় এলাকা বিলীন হচ্ছে। ভাঙছে দ্বীপাঞ্চলের প্রতিরক্ষা বেড়িবাঁধ ও বসতভিটা। নষ্ট হচ্ছে আবাদি জমি ও সাগর এবং নদীতে দেখা দিয়েছে মাছের আকাল। ভবিষ্যতে এর ভয়াবহতা আরও বাড়বে। তাই জলবায়ু পরিবর্তন রোধে আমরা শিক্ষার্থীরা মাঠে নেমেছি। আপনারাও এগিয়ে আসুন।’গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টে দাঁড়িয়ে পর্যটকদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন কক্সবাজার সরকারি কলেজের ছাত্র মেহেদী হাসান। এরপর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আসা কয়েক শ শিক্ষার্থী হাতে হাত ধরে সৈকতে প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করে। তারা শপথ নেয়, ‘আজ থেকে জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ রক্ষায় সচেতন থাকব। কাউকে পাহাড় কাটতে দেব না, দেব না বনাঞ্চল উজাড় করতে।’ এ সময় বেশ কিছু পর্যটক এই কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে শিক্ষার্থীদের উত্সাহ জোগায়। পরিবেশবাদী সংগঠন ডু-গ্রিন এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
কক্সবাজার সরকারি কলেজ, ঈদগাহ ফরিদ আহমদ কলেজ, কক্সবাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, কক্সবাজার কেজি স্কুল, প্রিপারেটরি উচ্চবিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এই মানববন্ধনে অংশ নেয়।
কক্সবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী জাহেদ হোসেন বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট মহাবিপর্যয়ের হাত থেকে এই পৃথিবীকে রক্ষায় আমাদেরই সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে। পাহাড় কাটা, প্যারাবন নিধন ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের ব্যাপারে শিক্ষিত তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় কক্সবাজারকে বাঁচানো যাবে না।’
ডু-গ্রিনের প্রধান মারুফ ফিরোজ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় ১৯টি জেলার মধ্যে কক্সবাজার চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। সমুদ্রসৈকতের কলাতলী থেকে ইনানী পর্যন্ত তিন কিলোমিটার এর মধ্যে বিলীন হয়েছে। মেরিন ড্রাইভ সড়কও বিলীন হচ্ছে। দ্বীপাঞ্চলগুলোর প্রতিরক্ষা বেড়িবাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। ঘন ঘন লঘু ও নিম্নচাপ সৃষ্টির কারণে সাগরে মাছ ধরা যাচ্ছে না। লাখ লাখ জেলে বেকার হচ্ছে। মাছ ধরার ট্রলারের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। এর প্রভাব সম্পর্কে অন্যদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সচেতন করা খুবই জরুরি। কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এই শিক্ষার্থী তথা আজকের কম বয়সীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
কক্সবাজার সরকারি কলেজ, ঈদগাহ ফরিদ আহমদ কলেজ, কক্সবাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, কক্সবাজার কেজি স্কুল, প্রিপারেটরি উচ্চবিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এই মানববন্ধনে অংশ নেয়।
কক্সবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী জাহেদ হোসেন বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট মহাবিপর্যয়ের হাত থেকে এই পৃথিবীকে রক্ষায় আমাদেরই সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে। পাহাড় কাটা, প্যারাবন নিধন ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের ব্যাপারে শিক্ষিত তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় কক্সবাজারকে বাঁচানো যাবে না।’
ডু-গ্রিনের প্রধান মারুফ ফিরোজ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় ১৯টি জেলার মধ্যে কক্সবাজার চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। সমুদ্রসৈকতের কলাতলী থেকে ইনানী পর্যন্ত তিন কিলোমিটার এর মধ্যে বিলীন হয়েছে। মেরিন ড্রাইভ সড়কও বিলীন হচ্ছে। দ্বীপাঞ্চলগুলোর প্রতিরক্ষা বেড়িবাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। ঘন ঘন লঘু ও নিম্নচাপ সৃষ্টির কারণে সাগরে মাছ ধরা যাচ্ছে না। লাখ লাখ জেলে বেকার হচ্ছে। মাছ ধরার ট্রলারের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। এর প্রভাব সম্পর্কে অন্যদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সচেতন করা খুবই জরুরি। কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এই শিক্ষার্থী তথা আজকের কম বয়সীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
No comments:
Post a Comment