পৃথিবীর সবার চোখ যখন জলবায়ু সম্মেলনে, তখন সারা বিশ্বের শিশুরাও সেখানে উপস্থিত। মোট ৪৪টি দেশের ১৬৪ জন শিশু কোপেনহেগেনে উপস্থিত হয়ে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় তাদেরও করণীয় আছে বলে দাবি তুলেছে। তারা একত্রিত হয়ে একটি ঘোষণা তৈরি করেছে এবং নিজেদের দেশে সেটা কার্যকর করার প্রতিজ্ঞা করেছে। গতকাল বুধবার সম্মেলনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি চার শিশু অভিজ্ঞতা বর্ণনাকালে সাংবাদিকদের এসব কথা জানায়।জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে কোপেনহেগেন-ফেরত চার শিশু তাদের প্রস্তুতি, সম্মেলনস্থলে নিজেদের দাবির কথা তোলা এবং আগামী দিনে বড়দের পাশাপাশি তারা কী ধরনের অবদান রাখতে পারে, সে বিষয়ে নিজেদের পরিকল্পনার কথা জানায়। তারা জানায়, গত ২৮ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিশুদের জলবায়ু ফোরামে (সিসিএফ) তারা বিশ্বের শিশুদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে কাজ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়। এ সময় তারা করণীয় নির্ধারণ করে, যার নাম দেওয়া হয়েছে শিশুদের জলবায়ু ফোরামের ঘোষণা। শিশুরা দৃপ্তকণ্ঠে জানায়, তারা প্রতিকূলতা মোকাবিলায় প্রস্তুত, দরকার শুধু বড়দের সাহসী হয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া।
কোপ-১৫-এর প্রেসিডেন্ট কনি হেডনগার্ডের কাছে সব শিশু মিলে একটি ঘোষণা হাজির করে। এতে জ্বালানি সাশ্রয়ী নতুন প্রযুক্তি, উপযুক্ত পরিবহন অবকাঠামো নির্মাণে বিনিয়োগ, বিদ্যালগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক শিক্ষাদান বাধ্যতামূলক করাসহ ছয়টি সুপারিশ এবং তা বাস্তবায়নে করণীয় উল্লেখ করা হয়। সুপারিশের মধ্যে অনিয়ন্ত্রিত নগরায়ণ বন্ধ, মানসম্পন্ন শিক্ষা ও নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নের কথা বলতে গিয়ে পৃথিবীকে শিল্পোন্নত দেশ, পরিবেশকে বেশি দূষিত করা ও কম দূষিত করা উন্নয়নশীল দেশ—এ তিন ভাগে বিভক্ত করে সমদায়িত্ব পালনে বাধ্য করার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়।
ভোলার শিশু তরিকুল ইসলাম জানায়, ‘বাংলাদেশকে চিনত না, এমন অনেক পরিবেশ-সচেতন মানুষকে আমরা আমাদের দেশের কথা শুনিয়েছি। আর কী ধরনের উদ্যোগ নিতে হবে, সেটাও তাদের কাছ থেকে শুনেছি।’ ভবিষ্যতে তার এলাকার শিশুদের মধ্যে এই বিষয়গুলো ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করার প্রতিশ্রুতি নিয়েই সম্মেলন থেকে সে ফিরেছে বলে জানায়।
রাজশাহীর মিতি অন্বেষা যা কিছু শিখেছে, তার সবই বন্ধুদের জানাতে চায়। কীভাবে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে এমপিথ্রি প্লেয়ার বাজানো সম্ভব, সে সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানায় সাতক্ষীরার আরিফ আরমান। এর পাশাপাশি মিনা কার্টুনের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে বাচ্চাদের জানানো গেলে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে বলেও সে দাবি করে।
সম্মেলনস্থলে উপস্থিত থেকে বিশ্ববাসীকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি এবং শিশুসুরক্ষায় করণীয় নিয়ে জানানোর কাজে ছোট নাটক ও গানকে ব্যবহার করে এই শিশুরা। অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে ফাতেমা আখতার বলে, ‘প্রকৃতির নেতিবাচক প্রভাবে একটি পরিবার ও তার শিশুরা কতটা বিপন্ন, সেটা বাংলা ভাষায় নাটক উপস্থান করে তুলে ধরা হয়। ভাষা না বুঝলেও আমাদের পরিবেশনা সেখানে উপস্থিত সবাইকে কাঁদিয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে ইউনিসেফের পক্ষে যোগাযোগ ও তথ্য বিভাগের যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ আরিফা এস শারমিন সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য নোয়াখালীর ফাতেমা আখতার, ভোলার তরিকুল ইসলাম, রাজশাহীর মিতি অন্বেষা ও সাতক্ষীরার আরিফ আরমানকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, আগামী এক বছর এই শিশুরা দেশব্যাপী জলবায়ুর পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নেওয়া এবং সবাই একত্রিত হয়ে জলবায়ু পরিবর্তনকে মোকাবিলা করার কাজ করবে। যে কর্মসূচি পালনে তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য একটি সামাজিক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে বলেও তিনি জানান। ইউনিসেফের অর্থায়নে সারা দেশে মাসলাইন মিডিয়া সেন্টারের (এমএমসি) যে ৬৪০ জন শিশুসাংবাদিক (শিশু প্রকাশ) রয়েছে তার মধ্য থেকে এই চারজনকে বাছাই করা হয়।
কোপ-১৫-এর প্রেসিডেন্ট কনি হেডনগার্ডের কাছে সব শিশু মিলে একটি ঘোষণা হাজির করে। এতে জ্বালানি সাশ্রয়ী নতুন প্রযুক্তি, উপযুক্ত পরিবহন অবকাঠামো নির্মাণে বিনিয়োগ, বিদ্যালগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক শিক্ষাদান বাধ্যতামূলক করাসহ ছয়টি সুপারিশ এবং তা বাস্তবায়নে করণীয় উল্লেখ করা হয়। সুপারিশের মধ্যে অনিয়ন্ত্রিত নগরায়ণ বন্ধ, মানসম্পন্ন শিক্ষা ও নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নের কথা বলতে গিয়ে পৃথিবীকে শিল্পোন্নত দেশ, পরিবেশকে বেশি দূষিত করা ও কম দূষিত করা উন্নয়নশীল দেশ—এ তিন ভাগে বিভক্ত করে সমদায়িত্ব পালনে বাধ্য করার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়।
ভোলার শিশু তরিকুল ইসলাম জানায়, ‘বাংলাদেশকে চিনত না, এমন অনেক পরিবেশ-সচেতন মানুষকে আমরা আমাদের দেশের কথা শুনিয়েছি। আর কী ধরনের উদ্যোগ নিতে হবে, সেটাও তাদের কাছ থেকে শুনেছি।’ ভবিষ্যতে তার এলাকার শিশুদের মধ্যে এই বিষয়গুলো ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করার প্রতিশ্রুতি নিয়েই সম্মেলন থেকে সে ফিরেছে বলে জানায়।
রাজশাহীর মিতি অন্বেষা যা কিছু শিখেছে, তার সবই বন্ধুদের জানাতে চায়। কীভাবে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে এমপিথ্রি প্লেয়ার বাজানো সম্ভব, সে সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানায় সাতক্ষীরার আরিফ আরমান। এর পাশাপাশি মিনা কার্টুনের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে বাচ্চাদের জানানো গেলে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে বলেও সে দাবি করে।
সম্মেলনস্থলে উপস্থিত থেকে বিশ্ববাসীকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি এবং শিশুসুরক্ষায় করণীয় নিয়ে জানানোর কাজে ছোট নাটক ও গানকে ব্যবহার করে এই শিশুরা। অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে ফাতেমা আখতার বলে, ‘প্রকৃতির নেতিবাচক প্রভাবে একটি পরিবার ও তার শিশুরা কতটা বিপন্ন, সেটা বাংলা ভাষায় নাটক উপস্থান করে তুলে ধরা হয়। ভাষা না বুঝলেও আমাদের পরিবেশনা সেখানে উপস্থিত সবাইকে কাঁদিয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে ইউনিসেফের পক্ষে যোগাযোগ ও তথ্য বিভাগের যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ আরিফা এস শারমিন সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য নোয়াখালীর ফাতেমা আখতার, ভোলার তরিকুল ইসলাম, রাজশাহীর মিতি অন্বেষা ও সাতক্ষীরার আরিফ আরমানকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, আগামী এক বছর এই শিশুরা দেশব্যাপী জলবায়ুর পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নেওয়া এবং সবাই একত্রিত হয়ে জলবায়ু পরিবর্তনকে মোকাবিলা করার কাজ করবে। যে কর্মসূচি পালনে তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য একটি সামাজিক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে বলেও তিনি জানান। ইউনিসেফের অর্থায়নে সারা দেশে মাসলাইন মিডিয়া সেন্টারের (এমএমসি) যে ৬৪০ জন শিশুসাংবাদিক (শিশু প্রকাশ) রয়েছে তার মধ্য থেকে এই চারজনকে বাছাই করা হয়।
No comments:
Post a Comment