প্রতি চার দিনে পৃথিবীতে এখন জন্ম নিচ্ছে দশ লাখেরও বেশি মানবসন্তান। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে ধরণী এখন ন্যুব্জ। প্রকৃতির স্বাভাবিক আচরণও পাল্টে যাচ্ছে জনসংখ্যার চাপে। ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধে জলবায়ু নিয়ে বিশ্ব নেতারা আলোচনায় বসলেও জনসংখ্যা সমস্যা নিয়ে তাদের যেন কোনও উৎকণ্ঠাই নেই!এখন পর্যন্ত মানুষ বুঝতে পারছে না যে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের একটাই মাত্র পৃথিবী। আর এর আয়তন বা বহনযোগ্যতা সীমিত। পৃথিবীর অন্যান্য প্রাণী, গাছপালা, প্রাকৃতিক সম্পদ, চাষের যোগ্য জমি, পানীয়জল আজ ধ্বংসের পথে আর তার প্রধান কারণ মানব সম্প্রদায়ের অধিক জন্মহার।
আমি বিশ্বাস করি খুব অল্পদিনেই রাষ্ট্রনেতারা তাদের দেশে পৃথিবীর সবচেয়ে সমালোচিত এবং কোথাও কোথাও ঘৃণিত চীনা ‘এক সন্তান’ জন্মাধিকার আইন গ্রহণ করবে। কারণ এ ছাড়া আর কোনও পথ মানুষের সামনে নেই। আমার কথাগুলো যুক্তি দিয়ে বলার চেষ্টা করছি।
যদি আজ থেকে পৃথিবীর প্রতিটি নারী তার জীবনে একটির বেশি সন্তান জন্ম না দেয় তবে ২০৫০ সাল নাগাদ পৃথিবীর জনসংখ্যা ৬.৫ বিলিয়ন থেকে কমে হবে ৫.৫ বিলিয়ন, (তথ্য : ডরবহং ফবসড়মৎধভরংশধ রহংঃরঃঁঃ.)
যদি নারীপ্রতি এক সন্তান নীতি চালু হয় তবে ২০৭৫ সালে এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ৩.৪৩ বিলিয়নে। আর তাহলে পৃথিবীর মানুষরা দেখতে পাবে নতুন এক পৃথিবীকে; যা আমরা ফেলে এসেছি শত বছর আগে। সুজলা সফলা পৃথিবী।
আর কিছুই যদি না করা হয়, যেভাবে চলছে সেভাবে চলতে দেওয়া হয় তবে পৃথিবীর জনসংখ্যা ২০৫০ সালের মধ্যে দাঁড়াবে ৯ বিলিয়নে, যা বহন করা পৃথিবীর সাধ্যের বাইরে।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের সাফল্য এবং অন্যান্য বৈজ্ঞানিক সফলতা মানুষকে দিয়েছে দীর্ঘ আয়ু ও সর্বনিম্ন শিশু মৃত্যুহার যা অবশ্যই পৃথিবীর সব সভ্য মানুষের কাছে সমাদৃত, কিন্তু তা কখনওই মানুষের আদিম স্বভাবকে পরিবর্তন করতে পারেনি। বিশেষ করে পৃথিবীতে যখন একদল মানুষের দখলে রয়েছে বিশুদ্ধ পানি আর অজস্র গাড়ি। আর অন্যদের কিছুই নেই।
সমাধান সহজ এবং নাটকীয় (এক সন্তান জন্মাধিকার আইন সারা বিশ্বের জন্য) তবু বিশ্বনেতাদের এজেন্ডায় আসবে না এই বিষয়টি। আমরা নেতাদের কাছ থেকে পাব সুন্দর সুন্দর কথা আর প্রতিশ্রুতি, বিশ্বনেতাদের চমৎকার সব আলোকচিত্র। সুন্দর সুন্দর পোস্টার আর মিডিয়া আমাদের শেখাবে কীভাবে সুন্দর ও মিতব্যয়ী জীবনযাপন করতে হয়। বিশ্বনেতাদের একটা ব্যাপার কখনওই মনে থাকে না যে বিশ্বের সর্বমোট ১০৪৪টি ধর্ম আর কোটি কোটি ধর্মীয় নেতা যেখানে মানুষের আদিম স্বভাব পরিবর্তন করতে পারেনি তা সামান্য আলোচনায় কীভাবে ঠিক হয়ে যাবে?
কোনও কিছুতেই কাজ হবে না যদি চীনাদের এই এক সন্তান জন্মাধিকার আইন পৃথিবী মেনে না নেয়। আমি জানি এই আইনের বিপরীতে অনেক বড় বড় যুক্তি আছে। আছে মৌলবাদী ধর্মীয় নেতাদের হুমকি। তবুও মানুষের সামনে আর কোনও রাস্তা খোলা নেই। পৃথিবীর প্রতিটি দেশকে তার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তা না হলে এক সময় পৃথিবীতে শুধু বেঁচে থাকবে ধনী
আর জ্ঞানীরা বাকি সবাই চলে যাবে হাভাতের দলে।
চীন প্রমাণ করেছে যে এক সন্তান জন্মনীতি একটি অত্যন্ত বুদ্ধিদীপ্ত রাজনীতি। যে চীনে মাত্র ৩০ বছর আগে সত্যিকারের কোনও হাইওয়ে ছিল না সে চীন আজ বিশ্বখ্যাত সুইডিশ গাড়ি ইন্ডাস্ট্রি কেনার জন্য স্টকহোমে দাম হাঁকাচ্ছে।
আমি যতদূর কোপেনহেগেনের জলবায়ু সম্মেলনের আলোচনা পড়ছি তাতে মনে হয় জনসংখ্যা কমলে যে কলকারখানা কমবে, কার্বন নিঃসরণ কমবে এবং পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা হ্রাস পাবে তা বিশ্বনেতাদের মাথায় ঢুকছে না।
আমি বিশ্বাস করি খুব অল্পদিনেই রাষ্ট্রনেতারা তাদের দেশে পৃথিবীর সবচেয়ে সমালোচিত এবং কোথাও কোথাও ঘৃণিত চীনা ‘এক সন্তান’ জন্মাধিকার আইন গ্রহণ করবে। কারণ এ ছাড়া আর কোনও পথ মানুষের সামনে নেই। আমার কথাগুলো যুক্তি দিয়ে বলার চেষ্টা করছি।
যদি আজ থেকে পৃথিবীর প্রতিটি নারী তার জীবনে একটির বেশি সন্তান জন্ম না দেয় তবে ২০৫০ সাল নাগাদ পৃথিবীর জনসংখ্যা ৬.৫ বিলিয়ন থেকে কমে হবে ৫.৫ বিলিয়ন, (তথ্য : ডরবহং ফবসড়মৎধভরংশধ রহংঃরঃঁঃ.)
যদি নারীপ্রতি এক সন্তান নীতি চালু হয় তবে ২০৭৫ সালে এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ৩.৪৩ বিলিয়নে। আর তাহলে পৃথিবীর মানুষরা দেখতে পাবে নতুন এক পৃথিবীকে; যা আমরা ফেলে এসেছি শত বছর আগে। সুজলা সফলা পৃথিবী।
আর কিছুই যদি না করা হয়, যেভাবে চলছে সেভাবে চলতে দেওয়া হয় তবে পৃথিবীর জনসংখ্যা ২০৫০ সালের মধ্যে দাঁড়াবে ৯ বিলিয়নে, যা বহন করা পৃথিবীর সাধ্যের বাইরে।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের সাফল্য এবং অন্যান্য বৈজ্ঞানিক সফলতা মানুষকে দিয়েছে দীর্ঘ আয়ু ও সর্বনিম্ন শিশু মৃত্যুহার যা অবশ্যই পৃথিবীর সব সভ্য মানুষের কাছে সমাদৃত, কিন্তু তা কখনওই মানুষের আদিম স্বভাবকে পরিবর্তন করতে পারেনি। বিশেষ করে পৃথিবীতে যখন একদল মানুষের দখলে রয়েছে বিশুদ্ধ পানি আর অজস্র গাড়ি। আর অন্যদের কিছুই নেই।
সমাধান সহজ এবং নাটকীয় (এক সন্তান জন্মাধিকার আইন সারা বিশ্বের জন্য) তবু বিশ্বনেতাদের এজেন্ডায় আসবে না এই বিষয়টি। আমরা নেতাদের কাছ থেকে পাব সুন্দর সুন্দর কথা আর প্রতিশ্রুতি, বিশ্বনেতাদের চমৎকার সব আলোকচিত্র। সুন্দর সুন্দর পোস্টার আর মিডিয়া আমাদের শেখাবে কীভাবে সুন্দর ও মিতব্যয়ী জীবনযাপন করতে হয়। বিশ্বনেতাদের একটা ব্যাপার কখনওই মনে থাকে না যে বিশ্বের সর্বমোট ১০৪৪টি ধর্ম আর কোটি কোটি ধর্মীয় নেতা যেখানে মানুষের আদিম স্বভাব পরিবর্তন করতে পারেনি তা সামান্য আলোচনায় কীভাবে ঠিক হয়ে যাবে?
কোনও কিছুতেই কাজ হবে না যদি চীনাদের এই এক সন্তান জন্মাধিকার আইন পৃথিবী মেনে না নেয়। আমি জানি এই আইনের বিপরীতে অনেক বড় বড় যুক্তি আছে। আছে মৌলবাদী ধর্মীয় নেতাদের হুমকি। তবুও মানুষের সামনে আর কোনও রাস্তা খোলা নেই। পৃথিবীর প্রতিটি দেশকে তার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তা না হলে এক সময় পৃথিবীতে শুধু বেঁচে থাকবে ধনী
আর জ্ঞানীরা বাকি সবাই চলে যাবে হাভাতের দলে।
চীন প্রমাণ করেছে যে এক সন্তান জন্মনীতি একটি অত্যন্ত বুদ্ধিদীপ্ত রাজনীতি। যে চীনে মাত্র ৩০ বছর আগে সত্যিকারের কোনও হাইওয়ে ছিল না সে চীন আজ বিশ্বখ্যাত সুইডিশ গাড়ি ইন্ডাস্ট্রি কেনার জন্য স্টকহোমে দাম হাঁকাচ্ছে।
আমি যতদূর কোপেনহেগেনের জলবায়ু সম্মেলনের আলোচনা পড়ছি তাতে মনে হয় জনসংখ্যা কমলে যে কলকারখানা কমবে, কার্বন নিঃসরণ কমবে এবং পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা হ্রাস পাবে তা বিশ্বনেতাদের মাথায় ঢুকছে না।
লেখকঃ মাসুদ আখন্দ < সাপ্তাহিক ২০০০ থেকে সংগৃহীত >
No comments:
Post a Comment