কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের ভাঙন রোধে তিন বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এর নাম ‘কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতসংলগ্ন ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সবুজ বেষ্টনী প্রকল্প’। প্রকল্পের আওতায় সৈকতে চার সারিতে বিপুল পরিমাণ নারকেলগাছ লাগানো হবে। এতে ব্যয় হবে প্রায় আড়াই কোটি টাকা।প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জলবায়ু পরিবর্তন ও সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের বিরূপ প্রভাবে দেখা দেওয়া ভাঙনের কবল থেকে সৈকত রক্ষা পাবে। তা ছাড়া পর্যটনশিল্পের বিকাশের পাশাপাশি স্থানীয় জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে প্রকল্পটি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা সরেজমিন অনুসন্ধান করে প্রকল্পটি তৈরি করেন। এটি অনুমোদনের জন্য ১৯ অক্টোবর জেলা প্রশাসক মো. গিয়াস উদ্দিন আহমদ পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিবের বরাবর পাঠান।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. গিয়াস উদ্দিন আহমদ বলেন, কক্সবাজার সৈকতের বিভিন্ন স্থানে বর্তমানে বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের তৈরি ঝাউবাগান রয়েছে। বিভিন্ন কারণে এসব ঝাউগাছ রক্ষা করা যাচ্ছে না। সম্প্রতি টেকনাফ সৈকতের কাটাবনিয়া এলাকায় অনেক ঝাউগাছ কেটে ফেলার ঘটনা ঘটে। এখন ঝাউবাগানের বদলে কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার সৈকতে নারকেল, খেজুর, তাল ও অন্যান্য গুচ্ছমূল জাতীয় পরিবেশ উপযোগী গাছের বাগান তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারাও থাকবে। প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে সৈকতের ভূমিক্ষয় রোধ সম্ভব। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন মহলের সদিচ্ছা রয়েছে। আশা করি শিগগিরই এর অনুমোদন পাওয়া যাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৮৪ কিলোমিটার দীর্ঘ যে মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে, এর কাজ ২০১২ সালের মধ্যে পুরোপুরি শেষ হবে। সৈকতটি তখন বিশ্বের পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে পরিচিতি পাবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সৈকতের পাশ ঘেঁষে সবুজ প্রকল্পটির বাস্তবায়ন সম্ভব হলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে বৈচিত্র্য থাকবে।
কক্সবাজার পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের প্রধান শারমিন রেশমিন জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আজকাল বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে। বাড়ছে সাগরের পানি। জলোচ্ছ্বাসে সৈকতের ঝাউগাছ বিলীন হচ্ছে। বিলীন হচ্ছে মেরিন ড্রাইভসহ নানা স্থাপনা। এমন পরিস্থিতিতে ‘সবুজ বেষ্টনী প্রকল্প’টির বাস্তবায়ন খুব জরুরি।
পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিন কক্সবাজারের নির্বাহী পরিচালক ফজলুল কাদের চৌধুরী জানান, ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে নারকেলগাছ সহজে ধ্বংস হয় না। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে নারকেলগাছ ধরে কুতুবদিয়ার অন্তত ৩০ হাজার মানুষ প্রাণে বেঁচে যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা সরেজমিন অনুসন্ধান করে প্রকল্পটি তৈরি করেন। এটি অনুমোদনের জন্য ১৯ অক্টোবর জেলা প্রশাসক মো. গিয়াস উদ্দিন আহমদ পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিবের বরাবর পাঠান।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. গিয়াস উদ্দিন আহমদ বলেন, কক্সবাজার সৈকতের বিভিন্ন স্থানে বর্তমানে বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের তৈরি ঝাউবাগান রয়েছে। বিভিন্ন কারণে এসব ঝাউগাছ রক্ষা করা যাচ্ছে না। সম্প্রতি টেকনাফ সৈকতের কাটাবনিয়া এলাকায় অনেক ঝাউগাছ কেটে ফেলার ঘটনা ঘটে। এখন ঝাউবাগানের বদলে কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার সৈকতে নারকেল, খেজুর, তাল ও অন্যান্য গুচ্ছমূল জাতীয় পরিবেশ উপযোগী গাছের বাগান তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারাও থাকবে। প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে সৈকতের ভূমিক্ষয় রোধ সম্ভব। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন মহলের সদিচ্ছা রয়েছে। আশা করি শিগগিরই এর অনুমোদন পাওয়া যাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৮৪ কিলোমিটার দীর্ঘ যে মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে, এর কাজ ২০১২ সালের মধ্যে পুরোপুরি শেষ হবে। সৈকতটি তখন বিশ্বের পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে পরিচিতি পাবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সৈকতের পাশ ঘেঁষে সবুজ প্রকল্পটির বাস্তবায়ন সম্ভব হলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে বৈচিত্র্য থাকবে।
কক্সবাজার পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের প্রধান শারমিন রেশমিন জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আজকাল বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে। বাড়ছে সাগরের পানি। জলোচ্ছ্বাসে সৈকতের ঝাউগাছ বিলীন হচ্ছে। বিলীন হচ্ছে মেরিন ড্রাইভসহ নানা স্থাপনা। এমন পরিস্থিতিতে ‘সবুজ বেষ্টনী প্রকল্প’টির বাস্তবায়ন খুব জরুরি।
পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিন কক্সবাজারের নির্বাহী পরিচালক ফজলুল কাদের চৌধুরী জানান, ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে নারকেলগাছ সহজে ধ্বংস হয় না। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে নারকেলগাছ ধরে কুতুবদিয়ার অন্তত ৩০ হাজার মানুষ প্রাণে বেঁচে যায়।
No comments:
Post a Comment