ক্রমবর্ধমান সংশয় ও আলোচনায় অচলাবস্থার ফল হিসেবে শোনা যাচ্ছে কোপেনহেগেন সম্মেলনে সমন্বিত বৈশ্বিক জলবায়ু পরিকল্পনা গ্রহণ করা সম্ভব হবে না। হতাশাব্যঞ্জক? নিশ্চয়ই। তবে কোপেনহেগেন জলবায়ু সম্মেলনকে সব সময় এক পর্যায় থেকে অন্য পর্যায়ে উত্তরণের মধ্যবর্তী পদক্ষেপ বলে গণ্য করা হয়েছে। এখান থেকে আমরা কত দূর যাব, সে প্রশ্নটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।‘আগামীকাল’ শব্দটির ঘনিষ্ঠ যোগ আছে ‘ঝুলে পড়ার’ সঙ্গে। দেশগুলো মানতে বাধ্য এমন কোনো সমঝোতার অনুপস্থিতির অর্থ হতে পারে বিষয়টি ঝুলে যাওয়া। মহাপ্রলয়ের ভবিষ্যদ্বাণী শুনতে শুনতে ক্লান্ত মানুষ কোপেনহেগেনে জাদুকরী কিছু দেখতে মুখিয়ে আছে। যে ব্যর্থতার আশঙ্কা করা হচ্ছে তা যদি সত্যি হয়, তবে পরিণতিতে আমাদের রাজনীতিবিদদের ওপর আস্থার ক্ষেত্রে বড় ধরনের, হয়তো অপরিবর্তনীয়, ক্ষতি হতে পারে। আর তাই সরকারগুলোও আমাদের প্রত্যাশাগুলো সতর্কতার সঙ্গে সামলানোর চেষ্টা করছে।
জলবায়ু পরিবর্তন অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠার কতটা কাছাকাছি পৃথিবী পৌঁছেছে, সে বাস্তবতা মেনে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীরা আন্তরিকতার সঙ্গে এখনো আচরণ করছেন না। সরকারি পর্যায়ের আলাপ-আলোচনা বাস্তবতাবিবর্জিত। সমসাময়িক বৈজ্ঞানিক ভাষ্য অনুযায়ী, বর্তমানের আলোচ্য প্রস্তাবনাগুলো গৃহীত হলে এই শতাব্দীতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা আটটি ধনী দেশের গ্রুপ জি-৮ ও অন্যান্য দেশের নেতাদের সম্মত হওয়া তাপমাত্রার দ্বিগুণ।
আলোচনার টেবিলের বর্তমান প্যারামিটারগুলোর ওপর ভিত্তি করে কোনো মতৈক্য হলে তা রাশিয়ান রুলেটের মতো জুয়া খেলার চেয়েও ভয়ানক হবে। কোনো চুক্তি না হয়ে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়টি ঝুলে যাওয়া এবং দুর্বল জলবায়ু চুক্তির মতো আত্মপ্রবঞ্চনা—উভয়ই এড়াতে প্রয়োজন কোপেনহেগেনে এক সাফল্যের দেখা পাওয়া, যা এখনো সম্ভব।
আমাদের বাজি দ্বৈত পদক্ষেপ প্রক্রিয়ার পক্ষে। রাষ্ট্রগুলোকে সার্বিক লক্ষ্যমাত্রা, একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো, আগাম কর্মপন্থা ও তহবিল প্রদানের সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতিসংবলিত একটি কাঠামোর প্রতি রাজনৈতিক অঙ্গীকার করা দরকার। আইনগতভাবে মানতে বাধ্য মতৈক্য চূড়ান্ত করতে হবে এ সম্মেলনের ধারাবাহিকতায় ২০১০ সালে আলোচনায় (COP15-bis), এবারের ঘোষণায় এই শর্ত থাকতে হবে। এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশ প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করতে সক্ষম হবে এবং জাতিসংঘের আলোচনার উদ্যোক্তারা কপ ১৫ ঘোষণাকে যথাযথ, কাজের জন্য অনুকূল আইনি কাঠামোতে প্রতিফলিত করার সময় পাবে।
তদুপরি, আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ও পরিকল্পনাগুলোকে নতুন বাস্তবতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য ২০১৫ সালে পর্যালোচনার জন্য একটি সম্মেলনের দরকার হতে পারে। তাই, যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন রাষ্ট্রপ্রধানদের কোপেনহেগেন সম্মেলনে যোগ দেওয়া বেশি জরুরি। কারণ নেতাদের জোরালো ও সরাসরি হস্তক্ষেপ ছাড়া এই দ্বৈত পদক্ষেপের সমাধান কার্যকর হবে না।
সামনে এগোতে হলে শিল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে হবে। জলবায়ু অবিচারের প্রতিকার অবশ্যই করতে হবে, যেহেতু উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সইতে হয় এবং এর সঙ্গে খাপ খাওয়াতে প্রচুর ব্যয় করতে হয়। ধনী দেশগুলোকে প্রচুর অর্থ দিতে হবে। তাদের কাছে প্রয়োজনীয় সম্পদ নেই—এমন দাবি অন্তঃসারশূন্য শোনায়, তারা তো অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ট্রিলিয়ন ডলার ঢালতে পারে।
গরিব দেশগুলো নিজেদের ক্ষমতা সম্পর্কে সচেতন হচ্ছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ থেকে ভেটো প্রদানের ক্ষমতা কার্যকরভাবে এখন জি-৭৭ ও চীনের দিকে সরে যাচ্ছে। ১০ বছর আগে পশ্চিমে কেউ কি ভেবেছে, তাদের ভবিষ্যত্ বা সন্তানের মঙ্গল নির্ভর করবে বেইজিং বা দিল্লি বা আদ্দিস আবাবায় নেওয়া সিদ্ধান্তের ওপর?
তাই শিল্পোন্নত দেশগুলোকে যত শিগগির সম্ভব আলোচনার টেবিলে একটি প্রকৃত অর্থসংস্থানের প্রস্তাব রাখতে হবে, যেন উন্নয়নশীল দেশগুলো ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানানো ও অঙ্গীকারের ঘোষণা দেওয়ার জন্য সময় পায়। বিশেষত, আগাম শুরুর তহবিলের বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ। উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তার জন্য অন্তত ২০ বিলিয়ন ডলারের একটি তহবিল গঠন করা জরুরি। পারস্পরিক আস্থার পরিবেশ তৈরিতে তা সহায়তা করবে। অর্থপূর্ণ আলোচনা আবার চালু করার শর্ত তৈরিতেও তা ভূমিকা রাখবে।
চ্যালেঞ্জের মাত্রা বিষয়ে সঠিক তথ্য জানাতে হবে। সদিচ্ছা প্রকাশক ইঙ্গিত নয়, দরকার সুশৃঙ্খল ও রূপান্তরমূলক পরিবর্তন। জলবায়ু পরিবর্তনের সরকারি প্রতিক্রিয়া নতুন করে সাজাতে হবে হুমকির মাত্রা ও প্রয়োজনীয়তাকে বিবেচনায় নিয়ে। নতুন বৈশ্বিক সমঝোতা বিজ্ঞানভিত্তিক হতে হবে, স্বার্থান্বেষী মহলের লঘু করে দেওয়া কোনো আপসভিত্তিক হলে চলবে না।
যুক্তিসংগত ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় বায়ুমণ্ডলীয় কার্বন যে স্তরে সুস্থিত করা উচিত সে স্তর অর্জনে শিল্পোন্নত দেশগুলোকে ২০২০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন কমাতে হবে ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ এবং ২০৫০ সালের মধ্যে তা প্রায় পুরো থামাতে হবে। এখন আলোচনার টেবিলে ২০২০ সালের মধ্যে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ এবং ২০৫০ সালের মধ্যে ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ কমানোর যে কথা তোলা হচ্ছে, তা হলে চলবে না। প্রধান প্রধান উন্নয়নশীল দেশকেও জাতীয় পর্যায়ে যথাযথ উপশমমূলক কর্মসূচি অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে। তবে ধনী দেশগুলোকেই আগে পদক্ষেপ নিতে হবে। গত ২০ বছরের নিষ্ক্রিয়তার ফলে তাদের কোনো অধিকার নেই অন্যকে নির্দেশ দেওয়ার।
নাগরিকদের সত্য অবহিত করা থেকে সরকার নিবৃত থাকা উচিত নয়। সবাইকে কিছু কোরবানি করতে হবে। কিন্তু আপনি কি চাইবেন আপনার ঘর পরিষ্কার, রুচিসম্মত ও নিরাপদ না হয়ে সস্তা, নোংরা ও বিপজ্জনক হোক? আপনি কি বলতে প্রস্তুত, ‘ঠিক আছে, উত্তরাধিকারসূত্রে এ ঘর আমি পেয়েছি, কিন্তু তা রক্ষণাবেক্ষণে আমি অবহেলা করেছি। আমার সন্তানেরা, তোমাদের মাথার ওপর তাই যেকোনো সময় ছাদ ভেঙে পড়তে পারে?’ এমন ধরনের উত্তরাধিকার আমরা কেউ নিশ্চয়ই রেখে যেতে চাইব না।
প্রজেক্ট সিন্ডিকেট থেকে নেওয়া। ইংরেজি থেকে অনুবাদ: আহসান হাবীব
মিখাইল গর্বাচেভ: সোভিয়েত ইউনিয়নের সাবেক প্রেসিডেন্ট; গ্রিন ক্রস ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি
আলেকজান্ডার লিখোতাল: গ্রিন ক্রস ইন্টারন্যাশনালের সভাপতি; ক্লাইমেট চেঞ্জ টাস্কফোর্সের (সিসিটিএফ) সদস্য।
< লেখাটি দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় ০৭-১২-২০০৯ তারিখে প্রকাশিত >
জলবায়ু পরিবর্তন অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠার কতটা কাছাকাছি পৃথিবী পৌঁছেছে, সে বাস্তবতা মেনে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীরা আন্তরিকতার সঙ্গে এখনো আচরণ করছেন না। সরকারি পর্যায়ের আলাপ-আলোচনা বাস্তবতাবিবর্জিত। সমসাময়িক বৈজ্ঞানিক ভাষ্য অনুযায়ী, বর্তমানের আলোচ্য প্রস্তাবনাগুলো গৃহীত হলে এই শতাব্দীতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা আটটি ধনী দেশের গ্রুপ জি-৮ ও অন্যান্য দেশের নেতাদের সম্মত হওয়া তাপমাত্রার দ্বিগুণ।
আলোচনার টেবিলের বর্তমান প্যারামিটারগুলোর ওপর ভিত্তি করে কোনো মতৈক্য হলে তা রাশিয়ান রুলেটের মতো জুয়া খেলার চেয়েও ভয়ানক হবে। কোনো চুক্তি না হয়ে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়টি ঝুলে যাওয়া এবং দুর্বল জলবায়ু চুক্তির মতো আত্মপ্রবঞ্চনা—উভয়ই এড়াতে প্রয়োজন কোপেনহেগেনে এক সাফল্যের দেখা পাওয়া, যা এখনো সম্ভব।
আমাদের বাজি দ্বৈত পদক্ষেপ প্রক্রিয়ার পক্ষে। রাষ্ট্রগুলোকে সার্বিক লক্ষ্যমাত্রা, একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো, আগাম কর্মপন্থা ও তহবিল প্রদানের সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতিসংবলিত একটি কাঠামোর প্রতি রাজনৈতিক অঙ্গীকার করা দরকার। আইনগতভাবে মানতে বাধ্য মতৈক্য চূড়ান্ত করতে হবে এ সম্মেলনের ধারাবাহিকতায় ২০১০ সালে আলোচনায় (COP15-bis), এবারের ঘোষণায় এই শর্ত থাকতে হবে। এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশ প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করতে সক্ষম হবে এবং জাতিসংঘের আলোচনার উদ্যোক্তারা কপ ১৫ ঘোষণাকে যথাযথ, কাজের জন্য অনুকূল আইনি কাঠামোতে প্রতিফলিত করার সময় পাবে।
তদুপরি, আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ও পরিকল্পনাগুলোকে নতুন বাস্তবতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য ২০১৫ সালে পর্যালোচনার জন্য একটি সম্মেলনের দরকার হতে পারে। তাই, যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন রাষ্ট্রপ্রধানদের কোপেনহেগেন সম্মেলনে যোগ দেওয়া বেশি জরুরি। কারণ নেতাদের জোরালো ও সরাসরি হস্তক্ষেপ ছাড়া এই দ্বৈত পদক্ষেপের সমাধান কার্যকর হবে না।
সামনে এগোতে হলে শিল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে হবে। জলবায়ু অবিচারের প্রতিকার অবশ্যই করতে হবে, যেহেতু উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সইতে হয় এবং এর সঙ্গে খাপ খাওয়াতে প্রচুর ব্যয় করতে হয়। ধনী দেশগুলোকে প্রচুর অর্থ দিতে হবে। তাদের কাছে প্রয়োজনীয় সম্পদ নেই—এমন দাবি অন্তঃসারশূন্য শোনায়, তারা তো অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ট্রিলিয়ন ডলার ঢালতে পারে।
গরিব দেশগুলো নিজেদের ক্ষমতা সম্পর্কে সচেতন হচ্ছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ থেকে ভেটো প্রদানের ক্ষমতা কার্যকরভাবে এখন জি-৭৭ ও চীনের দিকে সরে যাচ্ছে। ১০ বছর আগে পশ্চিমে কেউ কি ভেবেছে, তাদের ভবিষ্যত্ বা সন্তানের মঙ্গল নির্ভর করবে বেইজিং বা দিল্লি বা আদ্দিস আবাবায় নেওয়া সিদ্ধান্তের ওপর?
তাই শিল্পোন্নত দেশগুলোকে যত শিগগির সম্ভব আলোচনার টেবিলে একটি প্রকৃত অর্থসংস্থানের প্রস্তাব রাখতে হবে, যেন উন্নয়নশীল দেশগুলো ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানানো ও অঙ্গীকারের ঘোষণা দেওয়ার জন্য সময় পায়। বিশেষত, আগাম শুরুর তহবিলের বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ। উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তার জন্য অন্তত ২০ বিলিয়ন ডলারের একটি তহবিল গঠন করা জরুরি। পারস্পরিক আস্থার পরিবেশ তৈরিতে তা সহায়তা করবে। অর্থপূর্ণ আলোচনা আবার চালু করার শর্ত তৈরিতেও তা ভূমিকা রাখবে।
চ্যালেঞ্জের মাত্রা বিষয়ে সঠিক তথ্য জানাতে হবে। সদিচ্ছা প্রকাশক ইঙ্গিত নয়, দরকার সুশৃঙ্খল ও রূপান্তরমূলক পরিবর্তন। জলবায়ু পরিবর্তনের সরকারি প্রতিক্রিয়া নতুন করে সাজাতে হবে হুমকির মাত্রা ও প্রয়োজনীয়তাকে বিবেচনায় নিয়ে। নতুন বৈশ্বিক সমঝোতা বিজ্ঞানভিত্তিক হতে হবে, স্বার্থান্বেষী মহলের লঘু করে দেওয়া কোনো আপসভিত্তিক হলে চলবে না।
যুক্তিসংগত ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় বায়ুমণ্ডলীয় কার্বন যে স্তরে সুস্থিত করা উচিত সে স্তর অর্জনে শিল্পোন্নত দেশগুলোকে ২০২০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন কমাতে হবে ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ এবং ২০৫০ সালের মধ্যে তা প্রায় পুরো থামাতে হবে। এখন আলোচনার টেবিলে ২০২০ সালের মধ্যে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ এবং ২০৫০ সালের মধ্যে ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ কমানোর যে কথা তোলা হচ্ছে, তা হলে চলবে না। প্রধান প্রধান উন্নয়নশীল দেশকেও জাতীয় পর্যায়ে যথাযথ উপশমমূলক কর্মসূচি অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে। তবে ধনী দেশগুলোকেই আগে পদক্ষেপ নিতে হবে। গত ২০ বছরের নিষ্ক্রিয়তার ফলে তাদের কোনো অধিকার নেই অন্যকে নির্দেশ দেওয়ার।
নাগরিকদের সত্য অবহিত করা থেকে সরকার নিবৃত থাকা উচিত নয়। সবাইকে কিছু কোরবানি করতে হবে। কিন্তু আপনি কি চাইবেন আপনার ঘর পরিষ্কার, রুচিসম্মত ও নিরাপদ না হয়ে সস্তা, নোংরা ও বিপজ্জনক হোক? আপনি কি বলতে প্রস্তুত, ‘ঠিক আছে, উত্তরাধিকারসূত্রে এ ঘর আমি পেয়েছি, কিন্তু তা রক্ষণাবেক্ষণে আমি অবহেলা করেছি। আমার সন্তানেরা, তোমাদের মাথার ওপর তাই যেকোনো সময় ছাদ ভেঙে পড়তে পারে?’ এমন ধরনের উত্তরাধিকার আমরা কেউ নিশ্চয়ই রেখে যেতে চাইব না।
প্রজেক্ট সিন্ডিকেট থেকে নেওয়া। ইংরেজি থেকে অনুবাদ: আহসান হাবীব
মিখাইল গর্বাচেভ: সোভিয়েত ইউনিয়নের সাবেক প্রেসিডেন্ট; গ্রিন ক্রস ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি
আলেকজান্ডার লিখোতাল: গ্রিন ক্রস ইন্টারন্যাশনালের সভাপতি; ক্লাইমেট চেঞ্জ টাস্কফোর্সের (সিসিটিএফ) সদস্য।
No comments:
Post a Comment